মঙ্গলবার, ২৯ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে তৈরি হচ্ছে আমেরিকা চীনের নকল ওষুধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর হাতিরপুল, রামপুরা, মালিবাগ ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জের জালকুড়ির একটি আয়ুর্বেদিক কারখানায় তৈরি হচ্ছে আমেরিকা ও চীনের তৈরি জীবনরক্ষাকারী ওষুধ। অনুমোদনহীন ও দাওয়াখানায় তৈরি এসব ওষুধ আবার কেজি দরে কিংবা হাজার পিস ধরে বিক্রি হচ্ছে। ভেজালকারী যে যার ইচ্ছামতো এসব ওষুধে জেনেরিক নেইম/ট্রেড নেইম দিয়ে দিচ্ছে। মুহূর্তেই তা হয়ে যাচ্ছে হার্টের ওষুধ, কখনো লিভারের ওষুধ, কখনো হাড়ের ওষুধ। তবে বেশির ভাগ সময়ই সেক্সের ওষুধ হিসেবে আমেরিকা কিংবা চীন থেকে ইমপোর্ট করা হয়েছে বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। তবে ওষুধের নিখুঁত প্যাকিং দেখে কারও বোঝার সাধ্য নেই এগুলো আসল নয়। আর তা পাওয়া যাচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন নামিদামি ওষুধের দোকানে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ও জেলা পুলিশের সহায়তায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের সদস্যরা হানা দেন জালকুড়ির সেই জেনমার্ক ইউনানি কারখানায়।

 ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- লুবনা আক্তার (২৬), আনোয়ার কাজী (২৭), রাম চন্দ্র বসাক (৬২), এস এম তাজমুল তারিক (৬৩), কনক কুমার শাহা (৫২), আরিফুল হক মাসুম ও শাহাদাত হোসেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, এসব প্রতারক ঢাকার চকবাজার, মিটফোর্ড এলাকা থেকে বস্তা ভরা প্লাস্টিকের সাদা-লাল-সবুজ রঙের বোতল, সিপি, সিলিকন সংগ্রহ করে। হাতিরপুল, নীলক্ষেত, ফকিরাপুল ও মালিবাগের বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকান থেকে ইংরেজিতে অ্যাম্বুস করে লেখা বিভিন্ন হলোগ্রাম, মনোগ্রাম সংবলিত ঝকঝকে রঙিন স্টিকার/লেবেল তৈরি করে সেগুলোকে ঘরে বসে প্লাস্টিকের বোতলে সেঁটে দিয়ে কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের মাধ্যমে এসব ভেজাল ওষুধ গুলশান-বনানী, কাকরাইল, ধানমন্ডি, উত্তরা ও মিরপুরের বিভিন্ন নামিদামি এবং পরিচিত ডিসপেন্সারিতে বিদেশি ওষুধ হিসেবে মার্কেটিং করে থাকে। নীতিহীন কিছু চিকিৎসক উপহার, কমিশন প্রাপ্তির লোভে অথবা অনুরোধে ঢেঁকি গিলে এসব ওষুধ রোগীদের প্রেসক্রাইব করছেন বলে গ্রেফতারকৃতরা দাবি করেছেন।

সর্বশেষ খবর