মোহাম্মদ ট্রেডিং নামের টাইলস বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রায় ৩৯ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পেয়েছে ভ্যাট নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। সংস্থাটি জানিয়েছে, মোহাম্মদ ট্রেডিং আরএকে সিরামিকস বাংলাদেশ লিমিটেড এবং স্টার সিরামিক লিমিটেড থেকে বিভিন্ন সাইজের টাইলস ও স্যানিটারি আইটেম কিনে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ভ্যাটযোগ্য সেবার বিপরীতে প্রযোজ্য রাজস্ব যথাযথভাবে সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে ও সঠিক বিক্রয় তথ্য গোপন করে ঘোষণাবহির্ভূত স্থানে মূসকসংক্রান্ত দলিলাদি সংরক্ষণ করে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছিল।
গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান গণম্যাধ্যমে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি সরকারের ভ্যাট ফাঁকির উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্যসহ নানা ধরনের অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে, যা ভ্যাট আইন অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ভ্যাট আইনে এ-সংক্রান্ত একটি মামলা হয়েছে। ভ্যাট আদায়ের আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য তদন্ত প্রতিবেদনটি ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেটে পাঠানো হয়েছে।
ভ্যাট গোয়েন্দা জানায়, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল ২০২০ সালের ৩ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটিতে আকস্মিক অভিযান চালায়। এতে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। অভিযানে দেখা যায়, ভ্যাট গোয়েন্দাদের নজর এড়াতে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় থেকে বিভিন্ন দলিল গোপনে ধ্বংস করার জন্য অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়। সংস্থাটির উপপরিচালক তানভীর আহমেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।পরে প্রতিষ্ঠানটির আরকে টাওয়ারের প্রধান কার্যালয়ে অভিযানকালে ভ্যাটসংক্রান্ত নথিপত্র ও প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক অডিট প্রতিবেদন, দাখিলপত্র (মূসক-১৯) এবং বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক জমাকৃত ট্রেজারি চালানের কপি যাচাই করে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃত বিক্রয়মূল্যের বিপরীতে ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট প্রদান না করে শুধু বিক্রয়কৃত পণ্যের মূল্যের বিপরীতে প্রাপ্ত কমিশনের ওপর ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক প্রদান করেছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের নথিপত্র যাচাই করা হয়।