বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

হাত-পা বেঁধে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যায় দুই আসামি গ্রেফতার

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের পর কিশোরীকে হত্যায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরা হলো নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি মাস্টারপাড়ার মৃত নবির উদ্দিনের ছেলে সাঈদ ইসলাম (১৯) ও একই জেলা সদরের তিস্তা চৌরাটারি এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে রনি মিয়া (২১)। গতকাল পিবিআইর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই গাজীপুরের পরিদর্শক মোহাম্মদ কাওছার উদ্দিন গ্রেফতারদের বরাত দিয়ে জানান, গাজীপুর সিটির কাশিমপুর বারেন্ডা পশ্চিমপাড়ার নুরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ভিকটিম। একই বাসায় পাশে ভাড়া থাকত রনি। পাশের বাড়িতে ভাড়া থাকত রনির বন্ধু মিলন, হাসান ও সাঈদ। বন্ধুত্বের সম্পর্কের সুবাদে রনিদের বাসায় তিন বেলা টাকার বিনিময়ে খাওয়া-দাওয়া করত মিলন, হাসান ও সাঈদ। ভিকটিমের সঙ্গে মিলনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে ভিকটিমকে পছন্দ করতেন মিলনের বন্ধু রনি ও সাঈদ। তারা বিভিন্ন সময় তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিত এবং উত্ত্যক্তের চেষ্টা করত। এর পরিপ্রেক্ষিতে নভেম্বরে ভিকটিমের মা বাসাটি ছেড়ে দেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে ৩১ অক্টোবর সকাল ৯টার পর সাঈদ নাশতা খেতে রনির বাসায় যায়। তারা রনি ও সাঈদ ওই ভিকটিমের সঙ্গে দৈহিক মেলামেশার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী রনি খেলার ছলে ভিকটিমের পরনের কাপড় খোলার চেষ্টা করলে সে বাধা দেয়। তখন সাঈদ ভিকটিমের পা ধরে রাখে আর রনি দুই হাত বেঁধে মুখে বালিশচাপা দেয়। এরপর প্রথমে রনি ধর্ষণ করে ও সাঈদ তার মোবাইলে ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও করে। পরে সাঈদ ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ভিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে রনি ও সাঈদ শ্বাসরোধে কিশোরীকে হত্যা করে।

পরে হত্যা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য তারা ওই কিশোরীর লাশ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। এ ঘটনায় গত বছরের ৩১ অক্টোবর কাশিমপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। ময়নাতদন্তে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার আলামত পান চিকিৎসক। এ ঘটনায় ৩ জুলাই থানায় হত্যা মামলা হয়। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে ওই দুই আসামিকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার দুজনকে গাজীপুর আদালতে হাজির করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর