শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

নগরবাসীর ঈদ কাটল স্বস্তিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করল রাজধানীবাসী। নগরবাসীর নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যরা পোশাকে-সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করেছেন। ঈদ উপলক্ষে কয়েক স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়। নিরাপদ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদুল আজহা উদযাপনে সড়ক, রেল ও নৌপথ, পশুর হাট এবং ঈদ জামাতস্থলসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, ভবন ও মার্কেটে পুলিশের কড়া নজরদারি ছিল। গতকাল এবং ঈদের আগে-পরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে এসব খবর জানা গেছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী সূত্র বলছে, ঈদের আগের দিন রাতেই জাতীয় ঈদগাহ ময়দান, বায়তুল মোকাররমসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মসজিদগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এ ছাড়া ঈদের নামাজ হয়েছে সেসব স্থানে পুলিশ সদস্যরা পোশাকে ও সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করেছেন। কূটনৈতিক জোনের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ছিল মনিটরিং সেল। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, মন্ত্রিপাড়া, ব্যাংক-বীমা অফিস, জাতীয় সংসদ ভবন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিপণিবিতানে স্থাপিত সিসি ক্যামেরায় মনিটর করা হয়। পুলিশ ও র‌্যাব বলছে, চাঁদাবাজ, ছিনতাই ও অজ্ঞানপার্টি প্রতিরোধে তারা সতর্ক অবস্থানে ছিল। বিভিন্ন স্থান বা মোড়ে বসানো হয় অস্থায়ী চেকপোস্ট, সাদা পোশাকের গোয়েন্দা ইউনিট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, মোটরসাইকেলে টহল, ফুট পেট্রল ও তল্লাশি চৌকি। ছিলেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয় নগরীকে। মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান কঠোর ছিল। গরুর ট্রাক নিয়ে টানাহেঁচড়া করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। গরুর হাটগুলোকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছিল। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ঈদ উপলক্ষে র‌্যাবের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে চালু করা হয় দুটি হটলাইন। ছিনতাই প্রতিরোধে হাইওয়ে রাস্তায় নজরদারি করা হয়। চুরি প্রতিরোধে ঢাকার অলি-গলিতে টহল দেওয়া হয়। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে র‌্যাবের চেকপোস্ট ও টহল জোরদার ছিল। করোনাকালীন মানুষের পাশে থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। ফলে অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নগরবাসী স্বস্তিতে ঈদ পালন করেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি-মিডিয়া) ইফতেখায়রুল ইসলাম বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরুর হাটে কেন্দ্রীয়ভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই প্রতিরোধে অলিতে-গলিতে টহল বাড়ানো হয়। সার্বিকভাবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। ফলে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই স্বস্তিতে নগরবাসী ঈদ উদযাপন করেছে।

সর্বশেষ খবর