সোমবার, ২৬ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

আঞ্চলিক শক্তিগুলোকে সঙ্গে নিয়েই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান চাই

ওয়েবিনারে বক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনের ক্ষেত্রে ভারত ও চীনের সমর্থনের পাল্লা মিয়ানমারের দিকেই ভারী থাকবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা মনে করেন, আঞ্চলিক শক্তিসমূহকে সঙ্গে নিয়েই বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে হবে।

গতকাল ‘রোহিঙ্গা সমস্যা ও আঞ্চলিক ক্ষমতাধর দেশসমূহের ভূমিকা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা এই মতামত  দেন। সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ : বাংলাদেশের উদ্যোগে এই ওয়েবিনারে অংশ নেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক মন্ত্রী, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত এম সিরাজুল ইসলাম।

সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ : বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ইসহাক ওয়েবিনারে অংশ নেওয়া আলোচকদের বক্তব্য গণমাধ্যমে পাঠান। সাখাওয়াত ও সিরাজুল উভয়ে মনে করেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে চীন কিছুটা উদ্যোগী হলেও চীনের সমর্থনের পাল্লা মিয়ানমারের দিকেই ভারী থাকবে। আলতাফ হোসেন চৌধুরী মনে করেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারত অতীতেও কোনো ভূমিকা রাখেনি, ভবিষ্যতেও রাখবে না। ভারত মিয়ানমারকেই সমর্থন দেবে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে প্রতীয়মান হয়, সমস্যাটি সমাধানে যা কিছু করণীয় আঞ্চলিক শক্তিসমূহকে সঙ্গে নিয়েই বাংলাদেশকে করতে হবে।

ইউএনএইচসিআরের কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যা ঘটেছিল তা ‘টেক্সট বুক কেইস অব এথনিক ক্লিনজিং’। ‘ডক্টর উইদাউট বর্ডার’র উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ২৬ আগস্ট আরসা নামের একটি সন্ত্রাসী সংগঠন মিয়ানমারের চারজন সৈনিকসহ ১২ জনকে হত্যা করে। এরপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী এক সপ্তাহে ৭ হাজার রোহিঙ্গা নর-নারী ও শিশুকে নির্বিচারে হত্যা করে যা ছিল একটি পরিকল্পিত গণহত্যা।

এই হত্যাকান্ডের সমর্থন জানিয়ে এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে প্রশংসা করে ওই বছরের ২৭ আগস্ট দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দেওয়াকে সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম খুবই দুঃখজনক মনে করেন। তার মতে, ভারত কখনো রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে না। এম সাখাওয়াত ওয়েবিনারে সিরাজুল ইসলামের বক্তব্যের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। তিনি আরও উল্লেখ করেন, কৌশলগত কারণে ভারত কখনো মিয়ানমারকে অখুশী করবে না। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ভারতের কালাদান প্রকল্পসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হোক এটা ভারত কখনো চাইবে না।

সর্বশেষ খবর