মাদারীপুরের শিবচরে ধান খেতে বিষ প্রয়োগের ফলে মারা পড়ছে অসংখ্য পাখি। গত সোমবার বিকালে উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের কালু বেপারীর কান্দি গ্রামের একটি ফসলের খেতে অসংখ্য ঘুঘু পাখি মরে থাকতে দেখেছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের কালু বেপারীর কান্দি গ্রামের কৃষক মালেক বেপারী, হুমায়ুন আকনসহ স্থানীয় কয়েকজন কৃষক সম্প্রতি তাদের খেতে ধান বীজ রোপণ করেছেন। এ সময় বিভিন্ন পোকা, মাকড় কীটপতঙ্গ যাতে ধানের বীজ খেয়ে নষ্ট করতে না পারে সেজন্য ধানক্ষেতে গত দুই দিন আগে পোকা নিধনের বিষ প্রয়োগ করেন। এর পর থেকেই দলে দলে ঘুঘু পাখিসহ দেশীয় নানা জাতের পাখি মরে পড়ে থাকে খেতে। গত শুক্রবার প্রথম দফায় পাখি মারা যায় খেতে। শনিবার আবারও বিষ প্রয়োগ করলে সোমবার বিকালে দলে দলে পাখি মরে পড়ে থাকে খেতজুড়ে।
স্থানীয় এক কলেজছাত্র বলেন, ‘পাখিরা খেতের ধান খেয়ে ফেলার কারণে স্থানীয় দুই কৃষক খেতে বিষ প্রয়োগ করেছে। এতে দলে দলে বিলুপ্তপ্রায় ঘুঘু পাখি মারা পড়েছে। ঘুঘু পাখি বর্তমানে খুব বেশি দেখা যায় না।তার ওপর খেতে বিষ দিয়ে যদি এভাবে মেরে ফেলা হয় তাহলে তো এটা পরিবেশের জন্য হুমকি। এটা প্রশাসনের দেখা উচিত।’
খেতে বিষ প্রয়োগকারী কৃষক হুমায়ুন আকন বলেন, ‘পোকা-মাকড় খেতের ধান নষ্ট করে ফেলে। আমরা তো বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করেই খাই। পোকা মাকড়ে সব সময়ই ফসল নষ্ট করে। পোকা মাকড় যদি না মারি তাহলে আমাদের কষ্টের সব ফসলই খেয়ে ফেলবে। তখন আমরা খাব কি? তাই পোকা মাকড় মারতে ন্যাপথিলিন মিশ্রিত ওষুধ খেতে দিয়েছি। এতে যদি ঘুঘু পাখি মারা যায় তাহলে আমি কি করব?’
শিবচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অনুপম রায় বলেন, ‘ন্যাপথিলিনে কখনো পোকা মাকড় মারা যায় না। ঘুঘু পাখি মারা যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ঘুঘু পাখি কীভাবে মারা গেল সেটা আমি বলতে পারব না। তবে পোকা মাকড় মারতে অন্য কোনো বিষের সঙ্গে কেউ কেউ ন্যাপথিলিন ব্যবহার করতে পারে।’