বুধবার, ১৮ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

সরকারি চাকরিজীবীদের প্রতিবছরই ডোপ টেস্ট করা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিবছর একবার করে ডোপ টেস্টের আওতায় আনা হবে। যারা পজিটিভ হবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি নতুন শিক্ষক নিয়োগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সময় শিক্ষার্থীদেরও ডোপ টেস্ট করা হবে। এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে এগোতে বলা হয়েছে আমাদের। গতকাল মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মাদক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাদককে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করতে বলেছেন। নতুন নতুন ভয়ংকর মাদক আসার খবর আসছে আমাদের কাছে। বিভিন্নভাবে যেসব সংবাদ আমরা পাচ্ছিলাম, সে জন্য আমরা হঠাৎ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে আজকের সভা আহ্বান করেছি। সামারিক বাহিনীর প্রতিনিধিসহ সব বাহিনীর প্রধানরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। আমরা আলোচনা করেছি কীভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা যায়, এর উৎস কী, ভুক্তভোগী করা। এ প্রজন্মকে রক্ষার জন্য কী কী করা যায়, এ নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ইদানীং দেখছি কয়েকটি ভয়ংকর মাদক কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আসছে। আর যাতে না আসে সেই ব্যবস্থা করতে ডাক বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তান থেকে আমাদের দূরত্ব প্রায় ১ হাজার মাইল। মাঝখানে আরও দুটো দেশ রয়েছে। কাজেই ওখান থেকে এখানে কেউ চলে আসবে, এ ধরনের চিন্তাধারা আমার কাছে অমূলক মনে হয়। আমাদের দেশের মানুষ কখনো জঙ্গি ও উগ্রবাদকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়নি। পছন্দও করে না। কাজেই ওখানে কী হচ্ছে সেটা তাদের ব্যাপার। আমাদের দেশে সরকার আছে, প্রধানমন্ত্রী আছেন। তার নির্দেশনায় আমরা কাজ করছি। এখান থেকে লোকজন গেছে বলে যারা সন্দেহ করছেন, তাদের সন্দেহটা সঠিক নয়। কারণ সবকিছু বন্ধ। যেখানে যাতায়াতের বাহন নেই। তাহলে সেখানে কি কেউ হেঁটে হেঁটে গিয়েছেন? এখানেই আমার প্রশ্ন। যারা বলছেন, তারা হয়তো বাস্তবতার কথা চিন্তা না করেই বলেছেন।

আফগান শরণার্থী প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা হাজার মাইল দূরে আছেন। এমনিতেই পাকিস্তানি শরণার্থী ও রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিপদে আছি। কাজেই আফগান শরণার্থীর বিষয়টি আমাদের কাছে কোনো প্রসঙ্গই নয়।

বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নতুন কমিটি ফুল দিতে গিয়েছিলেন তাদের প্রয়াত চেয়ারম্যানের কবরস্থানে। সেখানে যাওয়ার সময় তারা উচ্ছৃঙ্খলভাবে গিয়েছিলেন। করোনার কারণে বলে দেওয়া হয়েছিল কোনো জমায়েত হতে পারবে না। তারপরও তারা সেটা উপেক্ষা করে সেখানে জোর করে ঢুকেছে। শান্তি ভঙ্গের চেষ্টা করেছে। পুলিশের ওপর বেধড়ক ইটপাটকেল ছুড়েছে। যার জন্য পুলিশ বাধ্য হয়ে টিয়ার গ্যাসের মাধ্যমে তাদের ছত্রভঙ্গ করেছে।

সর্বশেষ খবর