মহামারী করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা হিমশিম খেলেও, এই করোনাকালেই দেশে মূল্য সংযোজন কর-মূসক বা ভ্যাট নিবন্ধন ৬৯ শতাংশ বৃদ্ধির তথ্য দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। সংস্থাটির পরিসংখ্যান ও গবেষণা বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে ভ্যাট নিবন্ধনের সংখ্যা বেড়েছে ৬৯ শতাংশ। আগের ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৯টি। বিদায়ী অর্থবছরে ১ লাখ ১৫ হাজার ৩১টি নতুন নিবন্ধনের ফলে ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮২ হাজার ২০০টিতে। এদিকে, সারা দেশে ১১টি ভ্যাট কমিশনারেটের মধ্যে বিদায়ী অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেটে। সেখানে ২০২০-২১ অর্থবছরে নতুন নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ৯২। ২০১৯-২০ অর্থবছরে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৩৪ হাজার ৫০টি, সেটা গত অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ১৪২টি। অর্থাৎ এক বছরে এই কমিশনারেটে ভ্যাট নিবন্ধন বেড়েছে ১১২ শতাংশ। এ প্রসঙ্গে এনবিআরের পরিসংখ্যান ও গবেষণা বিভাগের মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, মাঠপর্যায়ে কঠোর মনিটরিং ও করদাতাদের ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি নতুন ভ্যাট নিবন্ধনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান অটোমেশন হওয়ায় করদাতারাও ব্যবসা পরিচালনার স্বার্থে নিবন্ধন নিতে আগ্রহী হচ্ছেন বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন নিচ্ছে, তাদের কমপ্লায়েন্ট করা সহজ হবে। সেখানে প্রয়োজন হলে অডিট যাচাই করতে পারবে কর কর্মকর্তারা। বিদায়ী অর্থবছরে ভ্যাট নিবন্ধন বৃদ্ধির পাশাপাশি অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা এবং রাজস্ব আয়ও বেড়েছে।