রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বিএনপি জাতির পিতাকে গ্রহণ না করা পর্যন্ত বিতর্ক চলবে : আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আজকে বিএনপির সংসদ সদস্য বলেছেন (বঙ্গবন্ধু হতাকান্ড নিয়ে) এই তর্ক বির্তক বন্ধ হোক। তর্ক বিতর্ক কীভাবে বন্ধ হবে? যতক্ষণ পর্যন্ত আপনারা জাতির পিতাকে জাতির পিতা হিসেবে গ্রহণ করবেন না, ততক্ষণ এই বিতর্ক চলবে। জাতীয় সংসদে গতকালের বৈঠকে বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাকটিশনারস অ্যান্ড বার কাউন্সিল বিল-২০২১ পাসের আগে সংসদ সদস্যদের আনীত জনমত যাচাই ও সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য রাখার সময় তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা (বিএনপি) গ্রহণ করেন আর না করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তাতে কিছু আসে যায় না। কারণ তিনি সত্যি সত্যি জাতির পিতা, বাঙালি জাতি সেটা জানে এবং বাঙালি জাতি সেটা ধরে রাখবে। সুতরাং এই বিতর্ক চলবেই যতক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনীতিতে পাকিস্তান করার যে উদ্দেশ্য ছিল বিএনপির, সেটা যতক্ষণ পর্যন্ত ধুয়ে মুছে শেষ না হয়ে যাবে। বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, উনি (হারুনুর রশীদ) বললেন, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় বলেছেন, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালের ঘটনার ব্যাপারে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সেদিন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ কোথায় ছিল?’ এ সময় স্পিকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই সৎ সাহস দেখিয়েছেন, তিনি এটার প্রশ্ন তুলেছেন, তার মানে তিনি এটা কগনিজেন্স নিয়েছেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এখন পর্যন্ত... দুঃখের কথা কী বলব। সেই দিন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের যিনি এখন সম্পাদক তিনি বিএনপি সমর্থিত একজন ভালো ক্যাডার। তিনি উল্লেখ করেছেন, কালুরঘাটে সেদিন যদি খুনি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতেন এবং সেদিন যদি পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর ওপর গুলি না চালাতেন তাহলে স্বাধীনতা কোথায় থাকত? সেটা তিনি উল্লেখ করেছেন। ইতিহাস নাকি অন্যরকম হতো। যারা এখনো এরকম কথা বলে, যারা এখনো স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আমরা যেখানে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি, সেখানে যারা এরকম মিথ্যা কথা বলার ধৃষ্টতা দেখায়, তাদের কি কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে কেউ মনে করে?

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, যদি ধরেন খুনি জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা হতেন, কেউ কি তার হাতটা চেপে ধরেছিল যে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা যাবে না? কেউ তার হাতটা চেপে ধরছিল যে না, না ২৬ সেপ্টেম্বর যে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স পাস করা হয়েছিল এটাকে বাতিল করা যাবে না? এরকম তো কেউ করে নাই? তো উনি এই বিচারটা করলেন না কেন? এই বিচারটা ২১ বছর পরে করতে হলো কেন? দেশের একজন নাগরিকের এটা অধিকার, সংবিধান বলেন আর সংবিধান যদি নাও থাকে তাহলেও জনগণের সিআরপিসিতেও অধিকার।

সর্বশেষ খবর