সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
ওয়েবিনারে অভিমত

নিয়ন্ত্রণ নয়, এখন প্রয়োজন তামাক নির্মূল আইন

‘কভিড-১৯ ও শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োজনীয়তা : বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে আলোচকরা বলেছেন, দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ নয়, এখন প্রয়োজন তামাক নির্মূল আইন। শনিবার এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে তামাকবিরোধী দুটি সংগঠন প্রজ্ঞা ও আত্মা।

নাদিরা কিরণের সঞ্চালনায় এতে অংশ নেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, অভিনেতা আবুল হায়াত, অর্থনীতিবিদ এবং জাতীয় তামাকবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী ও অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার, টিভি টুডের প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম, নিউজ টুয়েন্টিফোরের প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নী, ক্রীড়া সংগঠক মোহাম্মাদ ফয়সাল আহসান উল্লাহ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে), বাংলাদেশের উপদেষ্টা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের প্রমুখ। ওয়েবিনারের আয়োজকরা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্তির জন্য বেশকিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন। মূল উপস্থাপনায় বলা হয়, কভিড-১৯ এর সংক্রমণ ঝুঁকি থেকে জনসাধারণকে রক্ষার্থে প্যারাগুয়ে সম্প্রতি সব আচ্ছাদিত পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান শতভাগ নিষিদ্ধ করেছে।

ওয়েবিনারের আলোচকরা বলেন, চলমান করোনা মহামারী এবং আসন্ন তামাক মহামারীর ঘেরাটোপে জনস্বাস্থ্য। শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনই পারে উভয় মহামারীর কবল থেকে জনস্বাস্থ্যকে কার্যকর সুরক্ষা দিতে। তামাক মৃত্যু ঘটায় এবং কভিড-১৯ সংক্রমণ সহায়ক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী তামাক ব্যবহারের ফলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া এবং কভিড-১৯ সংক্রমণে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। বর্তমানে দেশের প্রায় ৪ কোটি তামাক ব্যবহারকারী মারাত্মকভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই সংশোধনীর মাধ্যমে বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি যুগোপযোগী করা এখন সময়ের দাবি। বিজ্ঞপ্তি

সর্বশেষ খবর