মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ভারতীয় নারী হত্যার অভিযোগে বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেফতার

কলকাতা প্রতিনিধি

ভারতীয় এক নারীকে হত্যার অভিযোগে বাবুল মিয়া নামে এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের পুলিশ। ৩৬ বছর বয়সী ওই ভারতীয় নারী ফাতিমা বিবির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন অবৈধভাবে ভারতে বাস করা বাবুল (৪৩)। বাবুলের সে সম্পর্ক থেকে ফাতিমা বেরিয়ে আসার চেষ্টা করাতেই তার গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ফাতিমা ৫ আগস্ট উত্তরপ্রদেশের সরফাবাদে খুন হন। যে বাড়িটিতে ফাতিমা ভাড়া থাকতেন সে ঘরটি থেকে দুর্গন্ধ পাওয়ার পরই বাড়ির মালিক ও স্থানীয়রা পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ এসে ওই ঘর থেকে ফাতিমার বিকৃত লাশ উদ্ধার করে। বাবুল সফরাবাদের নয়ডা নামক স্থানে শ্রমিকের কাজ করেন। ৫ আগস্ট ফাতিমার সঙ্গে তুমুল বচসা হয় তার। একসময় রাগের মাথায় ফাতিমার গলায় থাকা দোপাট্টা দিয়ে পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এর পরই এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেন বাবুল মিয়া। পুলিশসূত্রে খবর, বাংলাদেশে স্ত্রীসহ পরিবার আছে অভিযুক্ত বাবুলের। ১৫ বছর আগে বেআইনিভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে কোচবিহার জেলায় এসে বসবাস শুরু করেন বাবুল এবং সেখানেই তিনি আরেকটি বিয়ে করেন। এরপর সেখান থেকে নয়ডায় এসে সুপারটেক সোসাইটিতে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করতেন। কয়েক বছর ধরে নয়ডার বারোলা, গেঝা, সরখা, সরফাবাদে বাসা পরিবর্তন করে থাকছিলেন বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। জানা গেছে, কয়েক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গ থেকে নয়ডা ফেরার পথে ট্রেনের মধ্যেই ফাতিমার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল বাবুলের।

আর নয়ডায় ফিরে তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। চার বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পর সন্তানরা বাবার সঙ্গে থাকা শুরু করে। এতে কার্যত নিঃসঙ্গ ছিলেন ফাতিমা।

চলতি বছরের এপ্রিলে বাবুল ও ফাতিমা উভয়েই নয়ডার বারাউলা এলাকায় স্থানান্তরিত হন। আর সেখানেই দৈনিক শ্রমিকের কাজ শুরু করেন ফাতিমা এবং কন্ট্রাক্টর সাজিদ মালিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। জুলাইয়ে সাজিদকে নিয়ে ফাতিমা সরফাবাদ পালিয়ে আসেন।

৫ আগস্ট ফাতিমার সন্ধান পান তার পুরনো প্রেমিক বাবুল। ফাতিমাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি পুরনো সম্পর্কে ফিরে আসতে রাজি হননি। আর তখনই রাগের মাথায় ফাতিমার ওড়না দিয়েই তার গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করেন বাবুল।

সর্বশেষ খবর