শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
শিক্ষা দিবস পালিত

শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধের দাবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গতকাল পালিত হয়েছে মহান শিক্ষা দিবস। এ উপলক্ষে সকালে রাজধানীর হাই কোর্টের সামনে অবস্থিত ‘শিক্ষা অধিকার চত্বরে’ শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ছাত্র সংগঠন। এ ছাড়াও আলোচনা সভা ও শিক্ষা সমাবেশ করেছে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন।

উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আইয়ুব খানের শিক্ষা সংকোচন নীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে শহীদ হন গোলাম মোস্তফা, বাবুল ও ওয়াজিউল্লাহসহ কয়েকজন ছাত্র। সেই থেকে দিনটি শিক্ষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

দিবসটি উপলক্ষে বিকালে শিক্ষার বেসরকারিকরণ-বাণিজ্যিকীকরণ প্রতিহতের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্র সমাবেশ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ)। সংগঠনটির সভাপতি আল কাদেরী জয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্সের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ ও রাজেকুজ্জামান রতন। সকালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা। 

শিক্ষার বেসরকারিকরণ-বাণিজ্যিকীকরণ প্রতিহতের দাবিতে অনুষ্ঠানে আনু মুহাম্মদ বলেন, পৃথিবীর কোথাও কোনো দেশ নেই যেখানে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত পুরো শিক্ষাব্যবস্থা বাণিজ্যিকীকরণ করা। শুধু বাংলাদেশ ছাড়া।

শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ, সাম্প্রদায়িকীকরণ ও বেসরকারিকরণ বন্ধ করতে হবে। সব স্তরের জনগণের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এগুলো বন্ধ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

চার দাবিতে সমাবেশ : এদিকে সেশনজট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করাসহ চার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে ছাত্র সমাবেশ করেছে ছাত্র ইউনিয়ন। এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন প্রমুখ।

অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলনের এত বছর পর দেশে প্রাইভেট মেডিকেল হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। সেখানকার বেতন আর সরকারি বেতনের মধ্যে পার্থক্য আছে। সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা করোনাকালে বেতন পেয়েছেন, কিন্তু প্রাইভেটের শিক্ষকরা বেতন পাননি। প্রাইভেট স্কুলের ছেলেরা পড়তেও পারেনি। সবচেয়ে দুঃখের বিষয়, সরকার তো পড়াতে পারছে না, উল্টো ভ্যাট আদায় করছে।’

এ ছাড়াও করোনাকালে সব প্রকার বেতন ফি মওকুফ, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহার ও শিক্ষার বাণিজ্যকীকরণ-বেসরকারিকরণ বন্ধ করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একযোগে ছাত্রসমাবেশ করে ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ-মার্কসবাদী), বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল ও পাহাড়ি ছাত্র অধিকার পরিষদসহ প্রগতিশীল আট সংগঠন। বিদ্যমান শিক্ষা কাঠামো সংস্কার ও চলমান সংকট নিরসনের দাবিতে শাহবাগে ‘শিক্ষা সমাবেশ’ করে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর