শুক্রবার, ৮ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

১৭ অক্টোবর থেকে ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের বিশেষ সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি একাডেমিক কাউন্সিলের কয়েকজন সদস্য নিশ্চিত করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ জানান, সভায় আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু শিক্ষার্থীরা হলগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে, শিক্ষার্থীরাও হলে চলে আসছে, তাই এখন সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে ইতিপূর্বে একাডেমিক কাউন্সিল প্রণীত ‘লস রিকভারী প্ল্যান’ অনুসৃত হবে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ও অফলাইন সমন্বয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে ন্যূনতম ৬০ ভাগ ক্লাস সশরীরে নিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের জন্য প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের একাধিক সেকশনে বিভক্ত করে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, ল্যাবরেটরি রক্ষণাবেক্ষণ এবং শিক্ষার্থীদের তত্ত্বীয় কোর্সের জ্ঞানের গুণগত মান বজায় রাখার লক্ষ্যে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়। এক্ষেত্রেও একাধিক সেকশন বা গ্রুপ করে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।  এছাড়াও সভায় ১৬ অক্টোবরের মধ্যে শতভাগ শিক্ষার্থীর শতভাগ টিকা গ্রহণ নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ইন্সটিটিউটগুলোকে তদারকি করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এদিকে জবি প্রতিনিধি জানায়, সশরীরে ২২টি বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়ার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৫৭০ দিন পর খুলেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল সকাল থেকেই আনন্দঘন পরিবেশে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেখা যায়। সকালে ক্লাস রুমে প্রবেশের পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ, প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালসহ শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখেন। প্রায় দেড় বছরের বিরতিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সেশনজটের শঙ্কায় আছেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ. কে. এম আক্তারুজ্জামান বলেন, ২২টি বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে আসন বিন্যাস করা হয়েছে। আগের তুলনায় প্রতি রুমে ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী বসছে, যাতে স্বাস্থ্যঝুঁকি না থাকে। শুক্রবার এবং শনিবারও কয়েকটি বিভাগের পরীক্ষা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর