স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, করোনা মহামারীর কারণে সারা বিশ্ব একটি নতুন বৈশ্বিক বাস্তবতার মুখোমুখি। প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষ করে নারী ও শিশুদের নিয়ে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে এই মহামারী। লকডাউন পরিস্থিতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা, ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থবিরতা, নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, নারীস্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছে। করোনা পরবর্তী নেতিবাচক প্রভাব ও নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলায় সামাজিক ও বৈশ্বিক সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন।

সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে থার্ড ইউরেশিয়ান উইমেন্স ফোরামের উদ্বোধনী দিনে এক আলোচনা সভায় স্পিকার এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাশিয়ান ফেডারেশনের স্পিকার ভেলেন্টিনা মাতভিয়েনকো। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার আব্রামসেনকো ভিক্টোরিয়া, ভাইস রেক্টর মারিয়া আফোনিনা, মোজাম্বিক অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট এসপেরানকা লরিন্ডা ফ্রান্সিসকো বায়াস, আজারবাইজানের স্পিকার সাহিবা গাফারোভা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম ঘেব্রিসাস, রাশিয়ান ফেডারেশনের শ্রম ও সামাজিক নিরাপত্তা মন্ত্রী এন্টন কোটিয়াকভ প্রমুখ।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, ঘরে বসে ভার্চুয়ালি কাজ করার পাশাপাশি সংসার ও সন্তানের পরিচর্যা করতে গিয়ে নারীদের দ্বিমুখী সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। নারীর সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আরও সমতা ও সাম্যের ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ায় তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে। তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক ও কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি সম্ভব। কর্মক্ষেত্রে তাদের সমান বেতন নিশ্চিতকরণে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবসম্পদ ও নারীদের উন্নয়নে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন। নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জনে গৃহীত পদক্ষেপের যথাযথ বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ ব্যবস্থা, দরিদ্র নারীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বলয় কর্মসূচিসহ আরও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।