মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

তুচ্ছ ঘটনায় ঢাবি ছাত্রকে মারলেন ছাত্রলীগ নেতা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

মেসের খাবার রুমে নেওয়াকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের এক শিক্ষার্থীকে থাপ্পড় মেরেছেন ওই হলের ছাত্রলীগের এক নেতা। তবে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ, মেসের খাবারের মান নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করার জেরে তাকে মারা হয়েছে। গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটলে হলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অভিযুক্ত মুনিম শাহরিয়ার মুন হল শাখা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী। অন্যদিকে ভুক্তভোগী বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী গোলাম রাব্বিও ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন। তিনি ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী। জানা যায়, দুই দিন আগে মেসের খাবারের মানহীনতা নিয়ে হলের ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট দিয়েছিলেন রাব্বি। এই পোস্টের কারণে মেসের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতরা ক্ষেপে যায়। গতকাল দুপুরে অন্য একজনকে খাবার আনার জন্য পাঠান রাব্বি। তবে মেস ম্যানেজার সৌরভ হাসান সুজাত খাবার দিতে অস্বীকৃতি জানালে রাব্বি নিজেই মেসে আসেন। সেখানে উভয়পক্ষে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় এবং একে অপরকে গালিগালাজ করেন। পরে মেসের মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা মুনিম শাহরিয়ার মুন ঘটনাস্থলে এসে রাব্বিকে থাপ্পড় মারেন।

গোলাম রাব্বি বলেন, আমার টিউশন থাকায় খাবার নিয়ে যেতে চাইছিলাম। কিন্তু মেসের ম্যানেজার নিতে দেননি। আমি খাবারের মান নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলাম। এটা নিয়ে তারা অনেক রাগান্বিত। আজকে খাবার নিতে গেলে ওনারা বলছেন, মেসের টাকা নিয়ে চলে যেতে। পরে আমি হলের দোকানে বসেছিলাম। মুন ভাই এসে আমাকে থাপ্পড় মারেন। আমি কীভাবে হলে থাকি সেটাও তিনি দেখে নেবেন বলে হুমকি দেন।

এদিকে থাপ্পড় মারার বিষয়টি স্বীকার করে মুন বলেন, রাব্বি মেসের ম্যানেজার ও আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও গালিগালি করেছিল। তাৎক্ষণিকভাবে মেজাজ হারিয়ে আমি তাকে থাপ্পড় দিই। কিন্তু বিষয়টি আমার ভুল হয়েছে। পরে ওকে ডেকে ‘সরি’ বলেছি।

মেস ম্যানেজার সুজাত বলেন, নিয়ম না থাকায় আমি রুমে খাবার নিতে দিইনি। রাব্বি তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে আমাদের ওপর চড়াও হয়েছিল। আমি নিরাপত্তা চেয়ে হল প্রাধ্যক্ষের কাছে আবেদন করেছি।

বিষয়টি নিয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম খান বলেন, শুনেছি তারা নিজেরা বিষয়টি সমাধান করে নিয়েছে। একটি অভিযোগ পেয়েছি, সেখানে একজনের দুর্ব্যবহার ও নিরাপত্তাহীনতার কথা বলা হয়েছে। মেসের দায়িত্বরত শিক্ষককে আমি বলে দিয়েছি, তিনি বিষয়টি সমাধা করবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর