শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ তদন্তে ট্রাইব্যুনাল

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির (পেজারিজম) অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নির্বাহী ফোরাম সিন্ডিকেট। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম আবুল কালাম লুৎফুল কবির, তিনি বর্তমানে বিভাগটির সহযোগী অধ্যাপক। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিন্ডিকেট সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবিরের পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভের (থিসিস) বিষয়ে আনীত পেজারিজমের অভিযোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রিপোর্ট প্রদানের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট  ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। সিন্ডিকেট সূত্রে জানা যায়, এই ট্রাইব্যুনালের প্রধান হিসেবে থাকবেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ। বাকি দুজনের মধ্যে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও আরেকজন অভিযুক্তের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবেন। গত বছর নকল পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভের (থিসিস) মাধ্যমে ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে আবুল কালাম লুৎফুল কবিরের বিরুদ্ধে। তার ‘টিউবারকিউলোসিস অ্যান্ড এইচআইভি কো-রিলেশন অ্যান্ড কো-ইনফেকশন ইন বাংলাদেশ : অ্যান এক্সপোরেশন অব দেয়ার ইমপ্যাক্টস অন পাবলিক হেলথ’ শীর্ষক নিবন্ধের সঙ্গে ২০১২ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী-গবেষকের জমা দেওয়া একটি ‘স্টুডেন্ট পেপারস’-এর ৯৮ শতাংশ হুবহু মিল পাওয়া যায়। এ ছাড়াও মোট ১৭টি জার্নাল, আর্টিকেল ও গবেষণাপত্রের সঙ্গে নিবন্ধটির বিভিন্ন অংশের উল্লেখযোগ্য মিল পাওয়া যায়, যেগুলোর সবই লুৎফুল কবিরের অভিসন্দর্ভের আগে প্রকাশিত হয়েছিল। একটি পিএইচডি অভিসন্দর্ভের কাজ শেষ করার জন্য সাধারণত তিন থেকে সাড়ে তিন বছর লাগলেও ২০১৪ সালে কাজ শুরু করে পরের বছরই তা সম্পন্ন করে ফেলেছিলেন আবুল কালাম লুৎফুল কবির। সিন্ডিকেট সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবপ্রতিষ্ঠিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। এ ছাড়া একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ জন গবেষককে পিএইচডি এবং ১৭ জন গবেষককে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

 

সর্বশেষ খবর