শনিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

মানুষ যা চায় তা অনেক সময়ই পায় না : বাইডেন

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

সামাজিক নিরাপত্তা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের মহাপরিকল্পনায় নিজ দল ডেমোক্র্যাটদের অকুণ্ঠ সমর্থন লাভে ব্যর্থ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বললেন, মানুষ যা চায় তা অনেকেই পরিপূর্ণভাবে পায় না। আমি নিজেও না। তাই সমঝোতার পথে যতটা সম্ভব আমেরিকানদের সার্বিক কল্যাণে করতে চাচ্ছি’। বৃহস্পতিবার সকালে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো জলবায়ু সম্মেলনের উদ্দেশে রওয়ানা দেওয়ার প্রাক্কালে হোয়াইট হাউসে প্রেস ব্রিফিংকালে এমন অভিমত পোষণ করেন। উল্লেখ্য, বেশ কয়েক মাস আগে সাড়ে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের এক মহাপরিকল্পনা উপস্থাপন করেছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তা ছিল নির্বাচনী অঙ্গীকার এবং করোনায় ক্ষত-বিক্ষত আমেরিকাকে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর পরিপূরক। এ নিয়ে ডেমোক্র্যাটরাও বাগড়া বসিয়েছিলেন। এতবড় অঙ্কের দায় কেন নেবে যুক্তরাষ্ট্র- এ প্রশ্ন ছিল সিনেট ও হাউসের নীতি-নির্ধারকদের। অথচ ব্যাপকভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়নের প্রকল্প, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে যথাযথ পদক্ষেপ এবং স্বল্প ও মাঝারি আয়ের আমেরিকানদের জীবন-মানের উন্নয়নে বাইডেনের ওই মহাপরিকল্পনার বিকল্প ছিল না। এমনকি অভিবাসন আদালত ও পারিবারিক কোটায় ভিসা ইস্যুর যে জটিলতা শুরু হয়েছে, তা দূর করতেও বিপুল অর্থ দরকার ছিল। নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী সব আমেরিকানের ব্যাচেলর ডিগ্রি পর্যন্ত ফ্রি করার পাশাপাশি সব শিশুর কিন্ডার গার্টেন পড়া ফ্রি করার কর্মসূচিও ছিল ওই মহাপরিকল্পনায়। দাঁতের চিকিৎসাকেও মেডিকেইডের আওতায় আনতে চেয়েছিলেন। হোমকেয়ার সার্ভিসকেও আরও উন্নত করার প্রস্তাবও ছিল। স্টুডেন্ট লোন মওকুফের সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি ছাড়াও অভিবাসন আইন ঢেলে সাজাতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এসব জরুরি হয়ে পড়েছিল সামনের বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটেও ৬০টি আসন দখল করার। কিন্তু প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনাকে অর্ধেকে নামিয়ে আনায় বাইডেনের জনপ্রিয়তায় যে ভাটা পড়েছে, তা আরও ত্বরান্বিত হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ ডেমোক্র্যাটরা আত্মঘাতী একটি ফাঁদে পা দিয়েছেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন। ব্যক্তি হিসেবে জো বাইডেন মনোক্ষুণœ হলে কারও কিছু যাবে আসবে না, কিন্তু সাধারণ আমেরিকানদের সার্বিক কল্যাণের মনোভাবকে হতাশায় নিপতিত করার দায় নিতে হবে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে- এমন অভিমত পোষণ করেছে শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমসমূহও।

এতে ‘বিল্ড ব্যাক বেটার’ স্লোগানে বাইডেনের সামাজিক নিরাপত্তা এবং উভয় দলের স্বার্থে অবকাঠামোগত উন্নয়ন (সড়ক, সেতু, সমুদ্রবন্দর, ব্রডব্যান্ড এবং অন্যান্য স্থাপনা) পরিকল্পনাসমূহ এখন মুখ থুবড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর