অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সম্প্রীতি বাংলাদেশ গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে সমমনা সংগঠনগুলোর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়। সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.)। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোট, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন, রমনা কালীমন্দির, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ, জাগো বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, প্রাধ্যক্ষ জগন্নাথ হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, লোকনাথ ফাউন্ডেশন, অনলাইন অ্যাকটিভ্যাটস ফোরাম, জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, লইয়ার’স সম্প্রীতি, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কমান্ড, হরিজন ঐক্যপরিষদ, বঙ্গবন্ধু সংহতি পরিষদ, স্থপতি পরিষদ, ফার্মেসি স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী মহাশ্মশান ও মন্দির, বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ, জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটিসহ ৫০টি সংগঠন মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করে। মতবনিময় সভায় বক্তারা বলেন, একটি চিহ্নিত অপশক্তি সব সময় এ দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। ধর্মকে অপব্যবহার করা হচ্ছে রাজনৈতিক গুটির চাল হিসেবে। বাংলাদেশেও এক শ্রেণির ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠী এ স্পর্শকাতর হাতিয়ার ব্যবহার করেছে।
বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক দেশের তকমা লাগানোর জন্য দেশের অভ্যন্তরের একটি চিহ্নিত গোষ্ঠীর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী অত্যন্ত সক্রিয়।
হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সব মিলিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার যুদ্ধ একাত্তর। ফলে শুধু নতুন মানচিত্র বা পতাকাই নয়, আমরা ১৯৭২ সালে পেয়েছি একটি সেক্যুলার গণতান্ত্রিক সংবিধান। মুক্তিযুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পেছনের চালিকাশক্তি ছিল এ অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য।