রবিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
শতবর্ষপূর্তির উৎসবে আলোচনা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সব অর্জনের চালিকাশক্তি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

‘ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের যত অর্জন, তার সবকিছুর চালিকাশক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এখনো দেশের জন্য যারা অবদান রাখছেন, তাদের অধিকাংশই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। জ্ঞান ও প্রযুক্তির সমন্বয়ের মাধ্যমে আগামী দিনেও এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’ গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের আলোচনা সভায় এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তির থিম সং পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আলোচনা পর্বের সূচনা করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহাদত আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া অংশগ্রহণ করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সবকিছুর চালিকাশক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আলোকবর্তিকা হিসেবে এটি সবসময় পথ দেখিয়েছে। এখনকার তরুণ প্রজন্মের যারা দেশের জন্য অবদান রাখছে, তাদের অধিকাংশই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। এ জন্য আমি গর্ববোধ করি। বিগত ১০০ বছরে আমরা কী করেছি, তার চেয়েও বড় হলো, আগামী ১০০ বছরে আমরা কী করব। বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, জীবন বহতা নদীর মতো। কখনো প্রবাহমান, কখনো বা আবদ্ধ হয়ে পড়ে। এই আবদ্ধতা দূর করে বিশ্ববিদ্যালয়।

আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের সালাম জানাই তারা মুক্তবুদ্ধি, প্রগতিশীলতার চর্চা জারি রেখেছে। এখনকার ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় নানা ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, আমাদের সময় যা কল্পনাও করা যেত না। এই পরিবেশ যেমন সরকার তৈরি করছে, বিশ্ববিদ্যালয়কেও আগামী দিনে সেটি বাড়াতে হবে।

শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি গর্ব অনুভব করি। ষাটের দশকে এই ক্যাম্পাসে এসে আমি বঙ্গবন্ধুকে চিনেছি, বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রাম-নেতৃত্ব দেখেছি এবং বাংলাদেশকে চিনেছি।

নকশা প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে ‘শতবার্ষিক স্মৃতিস্তম্ভ’ প্রকল্পের আওতায় এর স্থাপনা নকশা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এক অনুষ্ঠানে বিজয়ী ‘নিন আর্কিটেক্টস’সহ আরও পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

উল্লেখ্য, এই প্রতিযোগিতায় দেশের স্বনামধন্য ৫৬টি স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।

সর্বশেষ খবর