লিজের শর্ত ভঙ্গ হবে এমন অভিযোগ এনে সেগুনবাগিচার পাঞ্জেরিয়া দরবার শরিফের জায়গায় পীর ইয়াহিয়া হাসানের লাশ দাফন না করতে হাই কোর্টে রিট করা হয়েছে। হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় গতকাল রিট করেন আরেক পীর সৈয়দ মো. ইয়ামিনুল হাসান চিশতি। রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আতিকুর রহমান। রিটে ভূমি সচিব, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও ওসি রমনাকে বিবাদী করা হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর পীর ইয়াহিয়া মারা যান। ১০ দিনেও তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়নি।

রিটে জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া দরখাস্ত নিষ্পত্তির নির্দেশনা, একই সঙ্গে লিজকৃত জায়গার ওপর স্থিতাবস্থা চাওয়া হয়েছে। আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আতিকুর রহমান জানান, বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে। ঘটনা তুলে ধরে আতিকুর রহমান জানান, ২০১৭ সালে দিল্লির খাজা নিজাম উদ্দিন আউলিয়া দরবার শরিফ থেকে খেলাফতপ্রাপ্ত হয়ে পীরজাদা সৈয়দ মো. ইয়ামিনুল হাসান চিশতি পাঞ্জেরিয়া দরবার শরিফের গদিনশিন হয়ে পীরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এরই মধ্যে ২৪ ডিসেম্বর ইয়ামিনুল হাসান চিশতির আপন চাচা দিল্লি থেকে খেলাফতপ্রাপ্ত সৈয়দ ইয়াহিয়া হাসান মারা যান। তখন জায়গার লিজ নেওয়ার শর্ত ভঙ্গ করে ইয়াহিয়া হাসানের লাশ দরবার শরিফে দাফন করতে তাঁর অনুসারীরা ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন।

ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উভয় পক্ষকে ডেকে ইয়াহিয়া হাসানের লাশ দরবার শরিফের জায়গায় দ্রুত দাফন করতে বলেন। এ সময় পীরজাদা সৈয়দ মো. ইয়ামিনুল হাসান চিশতি তাঁকে বলেন, এ জায়গায় দাফন করলে লিজের শর্ত ভঙ্গ হবে। এখানে দাফন করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, এর পরও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ওই জায়গায় দাফন করতে চাপ প্রয়োগ করলে ৩০ ডিসেম্বর পীর ইয়ামিনুল হাসান ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছে এর বিরুদ্ধে আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক সে আবেদন নিষ্পত্তি না করায় পীর ইয়ামিনুল হাসান হাই কোর্টে রিট করেন।