মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

১৭ বছর ভুয়া নামে কারারক্ষীর চাকরি দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজের নাম ইকরাম হোসেন হলেও সাখাওয়াত হোসেন নামে এক ব্যক্তির নিয়োগপত্র কৌশলে ব্যবহার করে কারারক্ষী হিসেবে চাকরি করেছেন প্রায় ১৭ বছর। এ সময়ে সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ ও জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে ওই কারারক্ষী ও এক কারা উপমহাপরিদর্শকের (সাময়িক বরখাস্ত) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এজাহারে বলা হয়, আসামি ইকরাম হোসেন যিনি ভুয়া সাখাওয়াত হোসেন নামে কারারক্ষী নম্বর-২২০৮৮ (সাময়িক বরখাস্তকৃত) ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক সিনিয়র জেল সুপার মো. বজলুর রশীদ বর্তমানে কারা উপমহাপরিদর্শক (সাময়িক বরখাস্তকৃত)-এর সহায়তায় অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে অপরের রূপ ধারণ করে প্রতারণা, জাল-জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়োগ পান। ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২৪ নভেম্বর ২০০৩ তারিখে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের স্থায়ী বাসিন্দাদের মধ্য থেকে কারারক্ষী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই কারারক্ষী নিয়োগের জন্য সিলেটে কেন্দ্র্রীয় কারগারের সিনিয়র জেল সুপার বজলুর রশীদকে সভাপতি এবং অন্য চার সদস্যের নিয়োগ টিম গঠন করা হয়। ২০০৩ সালের ১২ ডিসেম্বর সাখাওয়াত হোসেনসহ ২৫ জনকে প্রাথমিকভাবে কারারক্ষী পদে নির্বাচিত করেন কারা উপমহাপরিদর্শক। ঘটনায় বিবরণ থেকে আরও জানা যায়, নিয়োগপ্রাপ্ত সাখাওয়াত হোসেনকে ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি বা তার পূর্বে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং নির্ধারিত তারিখ ও সময়ের মধ্যে যোগদান করতে ব্যর্থ হলে কোনো প্রকার কারণ ব্যতিরেকেই এ নিয়োগাদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে মর্মে উল্লেখ করা হয়।

নিয়োগকৃত কর্মচারীর নিয়োগপত্র বা অন্যান্য কাগজপত্র যাচাইপূর্বক সঠিকতার ভিত্তিতে তাকে যোগদান করতে বলা হয়। কারারক্ষী পদে এ নিয়োগাদেশ যথাসময়ে প্রকৃত প্রাপক সাখাওয়াত হোসেনের কাছে পাঠানো হয়নি। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মো. সাখাওয়াত হোসেন ওরফে ইকরাম কৌশলে প্রকৃত সাখাওয়াত হোসেনের ঠিকানা ব্যবহার করেন এবং নিয়োগপত্রে নিজের ছবি ব্যবহার করে কারারক্ষী পদে যোগ দেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, ইকরাম হোসেন ভুয়া সাখাওয়াত হোসেনের নামে সার্ভিস বহি তৈরি করে বেতন-ভাতা ও রেশন সামগ্রী বাবদ মোট ১৫ লাখ ৮০ হাজার ৫১৭ টাকা উত্তোলনপূর্বক পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করে দন্ডবিধির ৪১৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন।

সর্বশেষ খবর