শিরোনাম
শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

মৃত্যুর ২০ বছর পর আপিল নিষ্পত্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

হাটের ইজারার সাড়ে ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছিল ১৯৮২ সালে। ১৯৮৭ সালে পাঁচ বছরের দন্ড এবং ৪২ হাজার টাকা জরিমানা। সেই দন্ড ও জরিমানার বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল হয় ১৯৮৮ সালে। এর মধ্যে আপিলকারী আসামি ২০০১ সালে মারা যান। তার প্রায় ২০ বছর পর সেই আপিল নিষ্পত্তি হলো। গতকাল বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রায় দেয়। ঘটনাটি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ১ নম্বর বাজুবাঘা ইউনিয়নের প্রয়াত এক চেয়ারম্যানের। রাজশাহীর চারঘাটের ১ নম্বর বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন আবদুস সোবহান। তিনটি হাট লিজ দেওয়াকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো ১৯৮২ সালের ৯ জুন মামলা করে চারঘাট থানায়। মামলায় সাড়ে ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় একই সালের ১০ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। বিচার শেষে ১৯৮৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে তাকে পাঁচ বছরের জেল ও ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ১৯৮৮ সালে হাই কোর্টে আপিল করেন আবদুস সোবহান (আপিল নম্বর ১৮৬১৯৮৮)। এই আপিল বিচারাধীন থাকাবস্থায় ২০০১ সালের ১৬ জুন মারা যান সোবহান।

কিন্তু আপিলে দুদককে পক্ষ করা হয়নি। পরে দুদক এই মামলায় পক্ষ হয়ে শুনানিতে অংশ নেয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া (মিতি)। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ। পরে শাহীদ আহমেদ বলেন, আজকে (বৃহস্পতিবার) হাই কোর্ট বিভাগ একটি অনেক পুরনো আপিল রায় দিয়ে নিষ্পত্তি করেছে। এ মামলার আপিলকারী ২০ বছরের বেশি সময় আগে মারা গেছেন। আপিলকারী মারা গেলে আইনের বিধান হচ্ছে আপিলটা অ্যাবেট (বাদ) হয়ে যাবে দন্ড ও সাজার ক্ষেত্রে। কিন্তু জরিমানাটা থেকে যাবে। এখন এই জরিমানার বিষয়ে শুনানি হয়েছে। শুনানি শেষে আপিল মঞ্জুর করেছে। এর মাধ্যমে আপিলের নিষ্পত্তি ঘটল।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া (মিতি) বলেন, যেহেতু আপিল মঞ্জুর হয়েছে, সেহেতু ওই চেয়ারম্যানকে নিম্ন আদালতের দেওয়া পাঁচ বছরের সাজা বাতিল এবং জরিমানা মওকুফ হয়ে গেছে।

 

 

সর্বশেষ খবর