বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

বায়ুদূষণ কমাতে কর্মপরিকল্পনা দাখিলের নির্দেশ হাই কোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের কোন এলাকার বাতাস সবচেয়ে দূষিত, দূষণের উৎস চিহ্নিত করে তা কমাতে কর্মপরিকল্পনা চেয়েছে হাই কোর্ট। পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদফতরকে এ কর্মপরিকল্পনা দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সার্বক্ষণিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উপযুক্ত স্থানে পর্যাপ্ত কন্টিনিউয়াস এয়ার মনিটরিং স্টেশন (সিএএমএস) স্থাপন করতে। তার সঙ্গে বিপজ্জনক ও অস্বাস্থ্যকর বায়ু থেকে জনগণকে রক্ষায় সতর্কতামূলক অ্যালার্ট (সংকেত) পদ্ধতি চালু করতে। এ ছাড়া বায়ুদূষণ প্রশমনে ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী পোড়ানো ইটের বিকল্প পদ্ধতি উন্নয়ন ও একটি কর্মপরিকল্পনা দাখিলের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে এ নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী চার মাসের মধ্যে আদালতে এ নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বিবাদীদের। বায়ুদূষণ রোধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। পরে আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশে বায়ুর মান সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় উপনীত হয়েছে। এত খারাপ যে, ঢাকা শহরে মানুষের গড় আয়ু কমে যাচ্ছে সাত বছর এবং গোটা দেশে সাড়ে পাঁচ বছর। বিভিন্ন গবেষণায় বাতাস দূষণের কতগুলো উৎস চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ওই উৎসগুলোর বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তও আছে। যেমন- ইট পোড়ানো যাবে না। পোড়ানো ইটের বিকল্প ব্যবহার করা হবে, বিশেষ করে সরকারি স্থাপনাগুলোতে। কিন্তু সরকারের সে সিদ্ধান্তগুলো প্রতিপালিত হচ্ছে না।

 নির্মল বায়ু আইন পাস করলেও বিধি না হওয়ায় তা আটকে আছে। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে আমার জীবন থেকে সাত বছর ঝরে যাচ্ছে। যে কারণে আমরা রুলসহ সাতটি অন্তর্বর্তী নির্দেশনা চেয়েছিলাম। আদালত তিনটি অন্তর্বর্তী আদেশসহ রুল দিয়েছে। আগামী ২৬ জুন পরবর্তী আদেশের জন্য তারিখ রাখা হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।

সর্বশেষ খবর