মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে নওগাঁ ও ঠাকুরগাঁওয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের উত্তরাঞ্চলের নওগাঁ ও ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। এজন্য দুটি আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ-সংক্রান্ত দুটি আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এ ছাড়া বৈঠকে বিমসটেক সনদের খসড়া, আইএলও কনভেনশন-১৩৮ অনুসমর্থনের প্রস্তাব ও রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪-এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়ালি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সচিবালয় থেকে মন্ত্রিসভার সদস্যরা বৈঠকে যোগ দেন। বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ আইনের খসড়া বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগেও বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, সে অনুযায়ী এটা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নওগাঁয় একটি পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ আইনটি আনা হয়। এখানে ৫৬টি ধারা হয়েছে। অন্যান্য আইনের মতোই। রাষ্ট্রপতি আচার্য হবেন, তিনি একজন স্বনামধন্য শিক্ষাবিদকে চার বছরের মেয়াদে ভিসি নিয়োগ দেবেন। দুজন থাকবেন উপ-উপাচার্য, একজন ট্রেজারার। তারা প্রকৃতপক্ষে দেখাশোনা করবেন। একইভাবে ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ ঠাকুরগাঁও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ওই এলাকায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। সেটি করা হবে। এ আইনটিও একই। এ দুটিসহ এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা হবে ৫২ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১০৮টি। বিমসটেক সনদের খসড়া অনুমোদন : দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং বঙ্গোপসাগর উপকূলের দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার প্ল্যাটফরম ‘বিমসটেক’ সনদের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পঞ্চম বিমসটেক সম্মেলনের গৃহীত ও স্বাক্ষরের জন্য বিমসটেক সনদ মন্ত্রিসভায় দেওয়া হয়। ৩০ মার্চ শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় পঞ্চম বিমসটেক সম্মেলন হবে। এর আগেই সনদ সই করতে হবে। সনদে ১১টি অধ্যায় ও ৩৬টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। বাংলাদেশ বিমসটেকের সেক্রেটারিয়েট ফাংশন করবে এবং সেক্রেটারিয়েট ঢাকায় হবে। আইএলও কনভেনশন অনুমোদন : ঝুঁকিপূর্ণ কাজে কোনোভাবেই শিশুদের ব্যবহার করা যাবে না- এমন কঠোর শর্তের আইএলও কনভেনশন-১৩৮ অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এর আগে আইএলওর সাতটি কনভেনশনে আমরা সই করেছি। এ ছাড়া আরও সাবসিডিয়ারি ৩৫টি কনভেনশনে সই করা হয়েছে। ১৮৯ দেশের মধ্যে ১৭৩টি সই করেছে। এখানে তিনটি বিষয় আছে- ১৫ বছরের কম কোনো শিশুকে কাজে লাগানো যাবে না। আর্থসামাজিক অবস্থা বিশেষ বিবেচনার পরিপ্রেক্ষিতে কোনো দেশ বয়স এক বছর কমাতে পারবে (১৪ বছর পর্যন্ত)।

তিন নম্বরে বলা হয়েছে- ১৪ বছর হোক বা ১৫ বছর হোক শিশুদের কোনো অবস্থাতেই কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ করা যাবে না। ১৪ বছর বয়সে কোনো শিশুকে কাজে লাগানো হলেও তাকে সাবালক বলে ধরে নেওয়া যাবে না। এটা তার বিয়ের বয়স হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে না। বিভিন্ন মামলা-মোকদ্দমায় সে সাবালক হিসেবেও বিবেচিত হবে না। তাকে ‘শিশু অপরাধী’ হিসেবেই গণ্য করতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর