সোমবার, ৭ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীকে গান শুনিয়ে জমি চাইলেন মেয়র আতিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরের জায়গা পরের জমি/ঘর বানাইয়া আমি রই/আমি তো সেই ঘরের মালিক নই’ বহুল প্রচলিত এ গানটির কিছু অংশ গেয়ে বাজার, খেলার মাঠ, পার্কসহ নান্দনিক শহর গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমি চেয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। গতকাল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ ও উন্নয়ন (ফেজ-১) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়নাধীন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন (ভার্চুয়াল) অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচকুড়া হাইসস্কুল মাঠে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। পরিকল্পিত শহর গড়ার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, আপনি বলেন, কমপ্লেক্স করতে হবে। আমরা এখানে ওয়ার্ড কমপ্লেক্স, জোনাল কমপ্লেক্স করব।

এ কমপ্লেক্সের মাধ্যমে থাকবে কমিউনিটি সেন্টার, কমিউনিটি ক্লিনিক, ওয়ার্ড অফিস, লাইব্রেরি এবং কালচারাল সেন্টার।’

তিনি বলেন, ‘একটা পরিকল্পিত শহর বলতে আমরা বুঝি-খেলার মাঠ, পার্ক, বাস-ট্রাক টার্মিনাল, কিচেন মার্কেট, কাঁচাবাজার, স্লটার হাউস, ক্যাটেল মার্কেট, সেনেটারি ল্যান্ড ফিল্ড, সেকেন্ডারি ট্রান্সফর্ম স্টেশন, পাবলিক টয়লেট, গ্রেভিয়ার্ড, ঈদগাহ মাঠ, মসজিদ, উপাসনালয়। এগুলো করতে অবশ্যই আমাদের জায়গা লাগবে। এ নতুন অঞ্চলকে উন্নত করতে সর্বমোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা। প্রাথমিকভাবে প্রথম ধাপে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। এ জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানাতে চাই।

প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতায় উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত হরিরামপুর ইউনিয়ন এবং পূর্বাঞ্চলে উত্তরখান, দক্ষিণখান, বাড্ডা, বেরাইদ, ডুমনি, সাঁতারকুল ও ভাটারা ইউনিয়নের এলাকাসমূহের ১৮টি ওয়ার্ডকে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। চলমান প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে এ ১৮টি ওয়ার্ডে বসবাসরত জনসাধারণের নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। সেই সঙ্গে বিদ্যমান জলাবদ্ধতা দূরীভূত হবে এবং নাগরিক সেবার মান বাড়বে।

সর্বশেষ খবর