শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

রমজানেও চলবে করোনার টিকাদান : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আসন্ন রমজানেও রাজধানীসহ সারা দেশে করোনার টিকাদান কার্যক্রম স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চলবে। যেসব কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে সেখান থেকে যথারীতি টিকা নেওয়া যাবে।’ গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার ২০২০’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান। গণটিকা কার্যক্রম আরও তিন দিন চলবে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা ৮০ শতাংশ মানুষের টিকাদানের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। এ লক্ষ্য পূরণে গণটিকা কার্যক্রম আরও তিন দিন চলমান থাকবে।

 টিকাদানে আমরা সফলতা অর্জন করেছি।

দেশে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকাদান কার্যক্রমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজের আওতায় এসেছেন ১২ কোটি ৭১ লাখ ৬৪ হাজার ৩২৩ জন। দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ১০ কোটি ৩১ লাখ ৩০ হাজার ৪৭৮ জন। এ ছাড়া টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ৮১ লাখ ৬৪ হাজার ২১১ জন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের জেলা, উপজেলাসহ সরকারি হাসপাতালগুলোকে সেন্ট্রালি সুপারভিশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। প্রতিটি হাসপাতালেই এক্স-রে মেশিনসহ সব ধরনের যন্ত্রপাতি নিশ্চিত থাকার কথা। অথচ সরকারি হাসপাতালের পরিবর্তে অনেক ক্ষেত্রেই বাইরে থেকে পরীক্ষা করানো হয়। এতে সরকারি অর্থে কেনা মেশিনগুলো অকেজো হয়ে নষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে দেশের সাধারণ মানুষ সরকারের বিনামূল্যে দেওয়া সেবা না পেয়ে অন্যত্র বেশি অর্থ ব্যয় করতে বাধ্য হয়। এটি আর চলতে দেওয়া যাবে না। দ্রুতই হাসপাতালগুলোয় সিসি ক্যামেরা বসিয়ে সেন্ট্রালি নজরদারিতে রেখে জনগণের সঠিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে।’

অনুষ্ঠানে ১০ ক্যাটাগরিত ৪৭টি পুরস্কার দেওয়া হয়। এর মধ্যে সেরা ১০ উপজেলা হাসপাতাল, সেরা পাঁচ জেলা হাসপাতাল, সেরা তিন মেডিকেল কলেজ, সেরা দুই বিশেষায়িত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং সেরা আট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ এবং সমাজকল্যাণ বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম. আবদুল আজিজ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বারডন জাং রানা প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর