শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

মহিলা পরিষদের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

‘সমতার চেতনা প্রতিষ্ঠা করি, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে শক্তিশালী নেতৃত্ব গড়ে তুলি’ স্লোগানে গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হাসিনা খান; চিত্রশিল্পী অশোক কর্মকার; বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক শাহানা জেফরীন। ঘোষণা পাঠ করেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম। জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এরপর জাতীয়সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী শায়লা ইমাম কান্তা, বিপ্লবী কর্মকার ও সহশিল্পীরা।

সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, স্বেচ্ছাসেবী এই নারী সংগঠনের ৫২ বছরের পদযাত্রা অত্যন্ত গৌরবের। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আমাদের পূর্বসূরিরা আমাদের পথ দেখিয়েছেন। তারা এই গৌরবের অংশীদার। নারীর প্রতি সহিংসতা আজ নারীর অগ্রযাত্রার পথে বড় বাধা। ৫২ বছরের নারী আন্দোলনের সফলতাকে ধরে রাখতে হলে কেন্দ্র ও তৃণমূলের সব সংগঠককে নতুন কৌশল তৈরি  করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হাসিনা খান বলেন, নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মহিলা পরিষদ যে কাজ করছে তার সুবিধাভোগী অনেক নারীই। ৫২ বছরে এসে নারীদের মধ্যে যে সাহসের সঞ্চার হতে দেখি তা মহিলা পরিষদ জুগিয়েছে।

অশোক কর্মকার বলেন, নারীর অধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত না হলে কারও অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে না। আজ নারীদের অগ্রযাত্রা দৃশ্যমান হলেও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আজও লড়াই করতে হয়।

শাহানা জেফরীন বলেন, সমতার চেতনা প্রতিষ্ঠিত করতে প্রত্যেক নারীকে যোগ্য হতে হবে। পরিবারে, রাজনীতিতে নারীর নিজ অধিকারকে আদায় করে নিতে ভয়েজ রেস করতে হবে।

সভাপতির বক্তৃতায় ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজকের নারীদের অগ্রসর করেছে। ৫০ বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে নারীর অনেক ভূমিকা আছে। অগ্রগতি হাজার হলেও নারী আজ কেমন আছেন সেটি এখন দেখতে হবে। আজ হাজার হাজার নারী সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। সমতাপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দলকে নারী পুরুষের সমতার আন্দোলনে শামিল হতে হবে। আলোচনা শেষে  পটগান পরিবেশন করেন রূপান্তর থিয়েটার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক  উম্মে সালমা বেগম।

এরপর একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

সর্বশেষ খবর