শরীয়তপুরের ডামুড্যায় তানজিলা (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গোপনে বিয়ের পর ছেলের পরিবার মেনে না নেওয়ায় শনিবার সন্ধ্যায় সে আত্মহত্যা করে। তানজিলা ওই উপজেলার ধানকাটি ইউনিয়নের চরপাতালিয়া গ্রামের মৃত তোতা মাদবরের মেয়ে এবং চরপাতালিয়া মীর আবদুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গতকাল ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফ আহম্মেদ বিষয়টি জানান। পুলিশ জানায়, প্রায় দুই বছর আগে তানজিলার মেজো বোনের বিয়ে হয় গোসাইরহাট উপজেলার সাত্তার সরদারের ছেলে সাইফুল সরদারের সঙ্গে। বোনের দেবর সেনাবাহিনীতে কর্মরত শাকিলের সঙ্গে তানজিলার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত শবেবরাতের দিন তারা গোপনে বিয়েও করেন। পরে বিয়ের কথা জানালে ছেলের পরিবার মেনে নিতে চায়নি। এ ঘটনায় স্বামী শাকিলের সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলার সময় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে তানজিলা। তাৎক্ষণিক শাকিল তানজিলার চাচতো ভাই বায়েজিদকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। পরে ঘরে ঢুকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তানজিলাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় ডামুড্যা থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তানজিলার মা ফাহিমা আকতার বলেন, মেয়ে দেখলাম জামাইয়ের সঙ্গে কথা বলছে। কী অপরাধ ছিল আমার মেয়ের। সে কেন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হলো। আমি এর বিচার চাই। এ ব্যাপারে স্বামী শাকিল আহম্মেদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফ আহম্মেদ বলেন, ওই ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।