রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

নবম পে-স্কেল দাবি সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন ও ভাতা বাড়ানোসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদ। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মো. আকরম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদের মহাসচিব মো. আমজাদ আলী খান। সংবাদ সম্মেলনে যে সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয় সেগুলো হলো- ১. জাতীয় স্থায়ী বেতন কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ১৯৭৩ সালের ১০ ধাপে নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের পার্থক্য ১ : ৫ হতে হবে। আগের মতোই শতভাগ পেনশন প্রথা পুনর্বহাল করতে হবে। ২. নবম পে-স্কেল প্রদানের আগ পর্যন্ত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয় বিবেচনা করে অবিলম্বে ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা দিতে হবে। ৩. সরকারি কর্মচারীদের আগের মতোই তিনটি টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড ও বেতন সমতাকরণ পুনর্বহাল করতে হবে ইত্যাদি।

জীবনযাত্রার মান সমুন্নত রাখার স্বার্থে এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয় বিবেচনা করে পেনশনের হার ৯০ শতাংশ থেকে শতভাগ ও গ্রাচ্যুইটির হার ১=২৩০ টাকার স্থলে ১=৪০০ টাকায় উন্নীত করতে হবে। ৪. এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি চালুসহ সচিবালয়ের মতোই সচিবালয়ের বাইরের সব সরকারি কর্মচারীদের সিলেকশন গ্রেডসহ পদবি ও বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে। ব্লক পোস্টধারীদের পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। ৫. আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। বিভিন্ন সরকারি দফতর ও প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের হয়রানিমূলক বদলি আদেশ, অত্যাচার-নির্যাতন বন্ধ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। উন্নয়ন খাতে কর্মরত কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। প্রার্থী প্রথা চালুসহ সব দফতরের কর্মরত মাস্টার রোল, কন্টিজেন্ট ও ওয়ার্কচার্জ কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। ৬. ক্যাডারে কর্মরত কর্মচারীদের মতোই প্রজাতন্ত্রের সরকারি কর্মচারীদের বিনা সুদে ৩০ থেকে ৫০ লাখ টাকা গৃহনির্মাণ ঋণ দিতে হবে এবং ৭. চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর এবং অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬২ বছর করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মতো সব দফতরে পোষ্য কোটা চালু করতে হবে।

সর্বশেষ খবর