রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

রেলক্রসিং যেন মৃত্যুফাঁদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে ট্রেনে কাটা পড়ে অপ্সাত পরিচয় এক কিশোরের (১৫) মৃত্যু হয়েছে শুক্রবার। ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায় ইফতারের আগে ডিঙ্গাডোবা ঈদগাহ এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা ফারুক হোসেন (৪৫)। এর আগে একই রেলক্রসিংয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মী ডলি পারভিন (৩৭)। নগরীর রেলক্রসিংগুলো এখন মরণ ফাঁদ হয়ে উঠেছে। অল্পদিনের ব্যবধানে রেলক্রসিং এলাকায় তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলের অধিকাংশ ক্রসিংয়ে দায়িত্ব পালন করছেন দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিকরা। আবার কোথাও কোথাও একজনের দায়িত্ব পালন করছেন আরেকজন। কাগজে-কলমে থাকা অর্ধেকের বেশি ক্রসিংয়ে নেই কোনো জনবল। ফলে ঝুঁকি নিয়েই চলছে রেলক্রসিং। পশ্চিমাঞ্চল রেলে ১ হাজার ২৪৯টি ক্রসিং আছে। এর মধ্যে ২৫৭টি অনুমোদিত, ৯৯৩টি অবৈধ ও ৭৫৭টিতে কোনো জনবল নেই। গেট ও গেটম্যানবিহীন এসব রেলক্রসিং বাড়িয়ে দিয়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁঁকি। যারা সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন তাদের অধিকাংশ স্বেচ্ছাশ্রমে অথবা দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে। অবৈধভাবে নির্মাণ হওয়া গেটগুলোর গুরুত্ব বিবেচনায় অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেল। চলছে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া। ইতোমধ্যে কিছু গেটে অস্থায়ী জনবল নিয়োগও করা হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, অবৈধভাবে অনেকগুলো গেট নির্মাণ করা হয়েছে। সেগুলোতে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। গুরুত্ব বিবেচনায় বেশকিছু গেট অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নতুন রাস্তা নির্মাণে রেলের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক থাকলেও এখন সেই নিয়ম মানছে না কেউ। ফলে রেলক্রসিং বাড়ছে, বাড়ছে ঝুঁকিও। মহাব্যবস্থাপক বলেন, স্থানীয়ভাবে বহু এলাকায় সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে রেলক্রসিং তৈরি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কেউ যোগাযোগও করেন না। ফলে অনেক ক্রসিংয়ের খবর পাওয়া যায় দুর্ঘটনার পর।

 

সর্বশেষ খবর