রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা কল্যাণে ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের প্রতি রাশাদের কৃতজ্ঞতা

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক রাষ্ট্রদূত রাশাদ হুসেন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ায় বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। রাশাদ ২৭ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করেন। এ বিষয়ে ২২ এপ্রিল মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ঢাকায় রাশাদ হোসেন সুশীল সমাজ এবং যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গেও খোলামেলা কথা বলেছেন। সে সময় তিনি বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যকার ধর্মীয় সহাবস্থানকে উৎসাহিত করেছেন অর্থাৎ ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধন সুসংহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এমনকি যাদের ধর্মীয় বিশ্বাস নেই তাদের অধিকার সুরক্ষার ব্যাপারেও সবাইকে যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। রাষ্ট্রদূত মানবাধিকারের অগ্রগতি, আন্তধর্মীয় সংলাপ এবং সহিষ্ণুতাকে উৎসাহিত করতে যারা কাজ করছেন সেই মানবধিকার কর্মী-সংগঠকদের নিরাপত্তার ব্যাপারেও সরকারকে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। সমাজে বিভাজন সৃষ্টির পাঁয়তারা চালানো এবং সহিংসতা উসকে দেয়- এমন গোষ্ঠীকে দমনে অথবা প্রতিরোধে যারা মাঠে রয়েছেন তাদের নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্বও নিতে হবে সরকারকে- এমন অভিমতও পোষণ করেছেন রাষ্ট্রদূত। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কক্সবাজার সফরকালে রাষ্ট্রদূত হুসেন বার্মায় নৃশংসতা ও নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসার পর থেকে রোহিঙ্গারা যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে তাদের সহায়তা করতে পারে সে সম্পর্কেও জানতে চেয়েছেন ক্যাম্পের বাসিন্দাদের কাছে। বার্মার সেনাবাহিনীর বর্বরতা- নৃশংসতাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন।

ঠিক তার পরই রাষ্ট্রদূত হুসেনের এই সফরের তাৎপর্য অপরিসীম বলে মনে করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুৎ রোহিঙ্গাদের মুখে সেসব কথা জানলেন রাষ্ট্রদূত। তিনিও রোহিঙ্গাদের জানিয়েছেন যে, এহেন পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ অবসানে যুক্তরাষ্ট্র সচেষ্ট রয়েছে।

ঢাকায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রীসহ বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত। ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য রাষ্ট্রদূত যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

সর্বশেষ খবর