চাকরিচ্যুত হওয়ার পর হতাশা থেকে মুক্তির জন্য ১৫ মাস আত্মগোপনে থাকা রফিক হোসেনকে উদ্ধার করেছে র্যাব। রফিক খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতে করোনা পরিস্থিতিতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরি হারান তিনি। এরপর পারিবারিক চাপে আত্মগোপন ও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। গত শুক্রবার কক্সবাজার থেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে খুলনা র্যাব-৬। গতকাল লবনচরার র্যাব কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোসতাক আহমেদ। তিনি বলেন, সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে গুম করার বিভিন্ন অপপ্রচার প্রতিরোধে ও বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য নিখোঁজ ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করে র্যাব। রফিক নিখোঁজের পর পরিবারের পক্ষ থেকে সোনাডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। অপহরণের পর গুম করা হতে পারে গুজবও ছড়ানো হয়। র্যাব কর্মকর্তারা বলেন, চাকরি হারানোর পর হতাশা থেকে মুক্তির জন্য তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি প্রথমে ঢাকায় সাত মাস মাস্ক বিক্রি করেন। তিন মাস ঢাকা সদরঘাটে হকার হিসেবে খেলনা বিক্রি করেন। মুন্সীগঞ্জেও নয় দিন হকারি করেছিলেন। নারায়ণগঞ্জে পাঁচ মাস টোকাই হিসেবে পুরনো বোতল ও লোহা কুড়িয়ে বিক্রি করেন। সর্বশেষে কক্সবাজারে শাহিন বিচের ইউনুসের চায়ের টং দোকানে মাসিক ৯ হাজার টাকা বেতনে চাকরি শুরু করেছিলেন। রফিক হোসেনের নিখোঁজের ঘটনায় ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি মোছা. মঞ্জুরা বেগম বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, ৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর বাড়ি ফেরেননি রফিক হোসেন।
