তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী মরহুম ড. ওয়াজেদ মিয়া নিরহংকার, প্রচারবিমুখ, অনুকরণীয় প্রাণের দৃষ্টান্ত। গতকাল বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জোহর নামাজের পর পরমাণু বিজ্ঞানী মরহুম ড. ওয়াজেদ মিয়ার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ-মাহফিল ও দোয়ায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবির ও ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি মিলাদ ও দোয়ায় অংশ নেন।

ড. ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, যেহেতু আমি আওয়ামী লীগ সভাপতির বিশেষ সহকারী হিসেবে কয়েক বছর কাজ করেছি, সে জন্য তাঁকে নিয়ে আমারও কিছু স্মৃতি রয়েছে। তিনি একজন নিভৃতচারী, নিরহংকার, মিতভাষী মানুষ ছিলেন, সবাইকে আপন করে নিতেন। তিনি যে জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রীর স্বামী তা অনেকেই জানতেন না। নিজগুণে, নিজ নামেই পরিচিত এ মানুষটি পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। একজন গবেষক ছিলেন। তার গবেষণালব্ধ বই ভারতে পাঠ্যবই হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য- ‘সরকারের পদত্যাগ ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না’। এর জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক।

আমাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক, তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুক। কিন্তু বিএনপিকে নির্বাচন-ভীতিতে পেয়ে বসেছে। আসলে ‘নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা’ একটা কথা আছে, বিএনপির ক্ষেত্রে এটিই প্রযোজ্য। আশা করব বিএনপি নির্বাচন-ভীতি কাটিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।