সোমবার, ১৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

দেশে খাদ্যের সংকট তৈরি হবে না : খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, এবার পাহাড়ি ঢলে হঠাৎ বন্যায় সুনামগঞ্জে বোরো ধানের কিছু ক্ষতি হলেও হাওরে আবাদি জমির পরিমাণ অনেক বেশি ছিল। বন্যায় যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তাতে খাদ্য সংকট তৈরি হবে না। দেশে অনেক ধান-চাল মজুদ আছে। বোরোর ফলন ভালো হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া বিরাজমান থাকায় আশা করা হচ্ছে আউশের ফলনও ভালো হবে। তাই বাংলাদেশে খাদ্যের ঘাটতি হবে এমন চিন্তা করা ঠিক হবে না।

গতকাল দুপুরে সিলেট সদরে খাদ্য গুদাম পরিদর্শনকালে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।

 সিলেটে খাদ্য গুদাম পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাজমানারা খানুম, সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, খাদ্য অধিদফতরের পরিচালক (সংগ্রহ) মো. রায়হানুল কবীর, পরিচালক মো. জামাল হোসেন, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (সিলেট) মো. মাইন উদ্দিন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নয়ন জ্যোতি চাকমা।

মন্ত্রী বলেন, ‘ভারত গম রপ্তানি বেসরকারিভাবে বন্ধ করেছে। সরকারিভাবে রপ্তানি বন্ধ করেনি। প্রজ্ঞাপনে সেটি পরিষ্কার রয়েছে। অতএব এর জন্য খুব বেশি অসুবিধা হবে বলে মনে হয় না। আর উৎপাদিত গম তাদের বিক্রি করতেই হবে। আজকে হয়তো প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। ১৫ দিন বা ১ মাস পর সেটি ফিরিয়েও নিতে পারে। সুতরাং এ নিয়ে আগাম মন্তব্য করা ঠিক হবে বলে মনে করি না।’ দেশ অনেকটাই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দাবি করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে এক বছর ধরে কোনো চাল আমদানি করা হয়নি। উৎপাদিত ধান দিয়েই চালের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। গম আমদানি করতে হয়। গম বেসরকারিভাবে বেশি আমদানি হয়। সরকারিভাবে কম হয়। সরকারিভাবে যেটুকু গম আমদানি করা হয়, সেগুলো রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে আনা হয়। ইতোমধ্যে ভারত থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন নিয়ে আসা হয়েছে।

 বাকি যেটুকু চাহিদা তা নিয়ে আসা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী খাদ্যমন্ত্রী।

ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভোজ্য তেলের দামের সমস্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা বিশ্বে চিন্তা করলে কিংবা ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা ভালো। ভারতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ২১০ রুপি করে বিক্রি হচ্ছে। সে হিসাবে আমরা ভালো আছি। ভালো থাকা নয় আমাদের আরও ভালো থাকতে হবে।’

তেলের পাশাপাশি বাড়ছে পিঁয়াজের দামও। দাম বাড়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে সাধন চন্দ্র বলেন, এখন পিঁয়াজ কৃষকরা উৎপাদন করছেন। সেগুলো বাজারে আছে। এর মধ্যে বেশি আমদানি করা হলে কৃষকরা পিঁয়াজ উৎপাদন ছেড়ে দেবেন। পিঁয়াজের দাম আর বেশি উঠবে না। কারণ, টিসিবির মাধ্যমে দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

সিলেটে চাল সংরক্ষণের জন্য আধুনিক রাইস সাইলো স্থাপন করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান খাদ্যমন্ত্রী। এ জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর