দেশকে অপরাধমুক্ত রাখতে যারা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে তাদের কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এ বছর থেকে ‘র‌্যাব অ্যাওয়ার্ড’ চালু করেছে এলিট ফোর্স র‌্যাব। এ ছাড় অপরাধ বিষয়ক রিপোর্টের জন্য চারটি ক্যাটাগরিতে সাংবাদিকদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এরা হলেন- মাসুদা লাবনী (নিউজ২৪), ইমরান রহমান (ভোরের কাগজ), আমানুর রহমান রনি (বাংলা ট্রিবিউন) এবং আবদুল্লাহ আল রাফিকে (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন) অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। গত সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে র‌্যাব অ্যাওয়ার্ড-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য র‌্যাব সদস্য, দলগত ও ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে ১০টি ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের অপরাধ বিষয়ক চারটি ক্যাটাগরিতে চারজনকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ুমন্ত্রী শাহাবুদ্দিন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, র‌্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।

র‌্যাব অ্যাওয়ার্ড-২০২১ এ তিনটি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ ব্যাটালিয়নকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে র‌্যাব-৫, জঙ্গিবিরোধী অভিযানে র‌্যাব-৪ এবং মাদকবিরোধী অভিযানে র‌্যাব-৭ এ তিনটি অ্যাওয়ার্ড পায়। ব্যক্তিগত পর্যায়ে তিনটি ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। আভিযানিক কার্যক্রমে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস (র‌্যাব-৩), শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা অফিসার হিসেবে মেজর আ ন ম শাকিল নেওয়াজ (সদর দফতর, ইন্ট. উইং) এবং শ্রেষ্ঠ র‌্যাব সদস্য হিসেবে ল্যান্স করপোরাল শাফিউর রহমান (র‌্যাব-১৫) অ্যাওয়ার্ড পান। দলগত পর্যায়ে তিনটি ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। উল্লেখযোগ্য অভিযানের জন্য র‌্যাব-৫, ক্লুলেস অপরাধের রহস্য উদঘাটনের জন্য র‌্যাব-৪ এবং মানবিক কার্যক্রমের জন্য র‌্যাব-৬ অ্যাওয়ার্ড পায়। ২০২১ সালে সার্বিক আভিযানিক সাফল্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী যথাক্রমে র‌্যাব-৫, র‌্যাব-৪ এবং র‌্যাব-৭-কে শ্রেষ্ঠ ব্যাটালিয়ন হিসেবে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

পাঁচ সদস্যের জুরি বোর্ডের মাধ্যমে চার ক্যাটাগরিতে অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকদের জমা দেওয়া অনুসন্ধানী প্রতিবেদন নির্বাচন করা হয়। জুরি বোর্ড প্রধান ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের ক্রাইম চিফ ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল। এ ছাড়া অন্য সদস্যরা ছিলেন- ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি শংকর কুমার দে, পারভেজ খান ও আবুল খায়ের এবং নিউজ ২৪ টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহানাজ মুন্নী।