বুধবার, ১ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ধার নেওয়া ৫০০ টাকার জন্য খুন হন রিপন

নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর মান্দায় ধার নেওয়া ৫০০ টাকার জন্য খুন হন মঞ্জুরুল ইসলাম রিপন (২০) নামে এক যুবক। তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে ঘটনার ২ মাস ৭ দিন পর এ খুনের রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় নাঈম ইসলাম নামে এক যুবককে। গ্রেফতারকৃত নাঈম উপজেলার দেলুয়াবাড়ী হঠাৎপাড়া এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে। গত সোমবার বিকালে নাঈম ইসলামকে আদালতে নেওয়া হয়। এ সময় তিনি খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দি রেকর্ড করেন নওগাঁ আমলি আদালত-২ (মান্দা) এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাজুল ইসলাম। নিহত রিপন উপজেলার নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের দোডাঙ্গী গ্রামের আনোয়ার হোসেন পাইলটের ছেলে। তিনি কৃষি শ্রমিক ছিলেন।

জবানবন্দির উদ্ধৃতি দিয়ে মান্দা থানার ওসি শাহিনুর রহমান বলেন, গত ২৩ মার্চ দোডাঙ্গী গ্রামে ইসলামী জলসার আয়োজন করা হয়। এদিন সন্ধ্যার দিকে গ্রেফতারকৃত নাঈম ইসলাম তার বন্ধু সুমনের সঙ্গে জলসা শোনার জন্য সেখানে যায়। রাত ১০টার দিকে সিগারেট খাওয়ার জন্য জলসাবাড়ির পাশে বিলের মধ্যে যায় নাঈম, সুমন ও রিপন। ওসি আরও বলেন, নিহত রিপন বন্ধু সুমনের কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পরেও তা পরিশোধ করেননি। বিলে সিগারেট খাওয়ার সময় সুমন তাঁর বন্ধু রিপনের কাছে পাওনা টাকা দাবি করে। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে নাঈম গলা টিপে ধরলে রিপন অচেতন হয়ে পড়ে। পরে নাঈম ও সুমন পাশের ধানখেতের কাদায় মুখ চেপে ধরে রিপনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এর পর রিপনের মোবাইলফোন নিয়ে তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে। ওসি শাহিনুর রহমান আরও বলেন, গত ২৮ মার্চ সুমনের সঙ্গে নাঈমের দেখা হলে নিহত রিপনের মোবাইলফোনটি বিক্রির জন্য তাকে দিয়ে ঢাকায় চলে যায়। পরে নিহত রিপনের মোবাইলটি মোস্তাকিন নামে এক যুবকের কাছে ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করে নাঈম। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে রিপনের মোবাইলফোন উদ্ধারসহ মোস্তাকিনকে গ্রেফতার করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক জান্নাতুল ফেরদৌস। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যে নাঈমকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত নাঈম এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ রাত ৮টার দিকে জলসা শোনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে নিরুদ্দেশ হন মঞ্জুরুল ইসলাম রিপন। পরদিন সকালে মাঠে কাজ করতে গিয়ে ডুবরির বিলের একটি ধানখেতে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন শ্রমিকেরা। পরে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।

সর্বশেষ খবর