বুধবার, ৮ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা
হাই কোর্টের মন্তব্য

একটি গোষ্ঠী মিতু হত্যার বিচার বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তাদেরই দুই সন্তানকে শিশু আইন মেনে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজ বুধবার দিন ঠিক করে দিয়েছেন হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি সাহেদ নুরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ দিন ঠিক করেন। শুনানির একপর্যায়ে আদালত বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী মিতু হত্যা মামলার বিচার বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। তার পরিবারের কি বিচার পাওয়ার অধিকার নেই?’

আদালতে বাবুল আক্তারের দুই শিশুর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী। এসপি বাবুল আক্তারের দুই সন্তানকে শিশু আইন মেনে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে আবেদনটি করা হয়েছে।

শিশির মনির জানান, গত ১৬ মার্চ শিশু আইন মেনে সতর্কতার সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত। আদালতের এ আদেশের পরে পিবিআই শিশু দুটিকে পিবিআইয়ের অফিসে হাজির করতে নোটিস দেয়, যেটা তারা শিশু আইন অনুযায়ী করতে পারেন না। এ কারণে শিশু আইন অনুসারে যাতে শিশু দুটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার নির্দেশনা চেয়ে গত ৩০ মার্চ হাই কোর্টে আবেদন করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে বের হওয়ার পর চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মিতুকে। ঘটনার পর তৎকালীন এসপি বাবুল আকতার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ এই হত্যার জন্য বাবুলকে দায়ী করে আসছিলেন।

শুরু থেকে চট্টগ্রাম পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মামলাটির তদন্ত করে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলার তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দেয়। তদন্ত শেষে পিবিআই গত বছরের ১২ মে এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। হত্যায় ‘বাবুল জড়িত’ বলে সন্দেহ হলে একই দিন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন আরেকটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়। পুলিশ এ মামলায় বাবুলকে গ্রেফতার দেখায়।

সর্বশেষ খবর