অপর ধর্মের অবমাননা সাম্প্রদায়িক সংঘাতের সূচনা বলে মন্তব্য করেছেন দেশের ১৭ বিশিষ্ট নাগরিক। গতকাল গণমাধ্যমে নাসির উদ্দিন ইউসুফ স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের শাসকদল বিজেপির দুজন দায়িত্বশীল নেতা ইসলাম ধর্মের মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি করে ভারত উপমহাদেশসহ সারা বিশ্বে মুসলমান ও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের মধ্যে প্রবল প্রতিক্রিয়া সঞ্চার করেছেন। সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের স্বাভাবিক প্রতিবাদ অনেক সময় বাধাগ্রস্ত হয়েছে এবং এ সুযোগে মুসলিম জঙ্গি সংগঠনগুলো বিভিন্ন হিংসাত্মক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছে। আমরা কোনো ধর্মের অবমাননা কখনো অনুমোদন করি না। ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ মুসলমানদের প্রিয় নবী সম্পর্কে অবমাননাকর উক্তি প্রত্যাখ্যান করার পাশাপাশি সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ প্রত্যাশা করে। আমরা মনে করি অপর দেশের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজ দেশে ধর্মান্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর হিংসাত্মক ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ সম্পর্কে সচেতন থাকা এখন সময়ের দাবি। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে সচেতন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে নিজ নিজ ধর্মীয় মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে ও অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সমাজে সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী অন্যরা হলেন হাসান ইমাম, অনুপম সেন, সেলিনা হোসেন, রামেন্দু মজুমদার, সারওয়ার আলী, ফেরদৌসী মজুমদার, আবেদ খান, আব্দুস সেলিম, লায়লা হাসান, মফিদুল হক, শাহরিয়ার কবীর, মুনতাসীর মামুন, শফি আহমেদ, শিমুল ইউসুফ, সারা যাকের ও হারুন হাবীব।