সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, স্বেচ্ছানির্বাসন থেকে ছয় বছর পর দেশে ফেরা শেখ হাসিনাকে তাঁর বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি জিয়া সরকার। নেত্রী চেয়েছিলেন ৩২ নম্বর বাড়িতে বাবা-মাসহ গোটা পরিবারকে পঁচাত্তরে যেখানে হত্যা করা হয়, সেই জায়গাটা দেখতে; সেখানে পৌঁছে নামাজ পড়তে। শোক জর্জর এক নারীকে যেভাবে বঞ্চনা করা হলো, সেদিন কী মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়নি?
আজ যারা গণতন্ত্র আর মানবাধিকার গেল গেল চিৎকার দিচ্ছেন, এই মহোদয়রা সেদিন কোথায় ছিলেন? শামীম ওসমান গতকাল সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা শিল্পকলা সম্মাননা পদক ২০২১ বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে সংসদে গেলাম ঝগড়া হলো একজনের সঙ্গে। তিনি (সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া) বললেন তোকে দেখে নেব। সেই দেখে নেওয়া হুমকি থেকেই কি ১৬ জুন ২০০১ সালে এই চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা মারা হয়েছিল!
শামীম ওসমান বলেন, ওই হামলায় আমাকে হত্যা করতে গিয়ে ২০টা ছেলের লাশ টুকরো টুকরো করে দেওয়া হয়েছিল। এখনো বিচারাধীন সেই বোমা হামলা-মামলা। ধৈর্য ধরেছি কারণ শেখ হাসিনা তাঁর পরিবারের হত্যার বিচার করতে গিয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে যুগের পর যুগ অপেক্ষা করেছেন। তাই তাঁর কর্মী হিসেবে তাঁর আদর্শে ধৈর্য ধারণ করতে শিখেছি। দলের প্রয়োজনে নারায়ণগঞ্জ থেকে জীবন দিতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত থাকি।সেই ইতিহাস আমাদের আছেও। তিনি দেশকে ভালোবাসার পরামর্শ দিয়ে বলেন, দেশ ভালো থাকলে সবাই ভালো থাকবে। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি চন্দন শীলসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।