মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

গোপালগঞ্জে গৃহবধূকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে কুপিয়ে হত্যা

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে পাওনা টাকা না দেওয়ায় জিমি বেগম (৩০)-কে বাড়িতে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন করেছে অসিম মোল্লা নামে এক সুদ ব্যবসায়ী ও তার লোকজন। এ ঘটনায় তার স্বামী নূর আলমকে আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। খুনের ঘটনায় আটজন?কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নূর আলমের ভাই হাবিবুর রহমান মুন্সী বাদী হয়ে মুকসুদপুর থানায় ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, চলতি ইরি মৌসুমের আগে নিহতের স্বামী নূর আলম মুন্সী প্রতিবেশী অসিম মোল্লার কাছ থেকে ইরি মৌসুম শেষে ৫০ মণ ধান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২ লাখ টাকা ধার নিয়েছিল। হঠাৎ করে বিলের পানি বেড়ে যাওয়ায় ধান তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে ধান বা টাকা কোনোটাই পরিশোধ করেতে পারেননি নূর আলম। এ নিয়ে সম্প্রতি এক সালিশ বৈঠকে আগামী ১৫ নভেম্বর টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল।

 কিন্তু তার আগেই রবিবার অসিম মোল্যা তাদের বাড়িতে সালিশের কথা বলে স্বামী-স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে যায় রাত সোয়া ১১টার দিকে। সেখানে গেলে টাকা সুদ সমেত ফেরত দেওয়া-নেওয়া নিয়ে নিহতের স্বামীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে মারধর করে অসিম মোল্লা ও তার লোকজন। একপর্যায়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ সময় স্ত্রী ছুটে গিয়ে স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়।

পরে তাদের স্থানীয়রা মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জিমি বেগম সেখানে মারা যান। তার স্বামী নূর আলমের অবস্থার অবনতি দেখে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন মুকসুদপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নিলয়। তিনি জানান, জিমি বেগমকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।

মুকসুদপুর থানার ওসি মো. আবু বকর মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে জিমি বেগম নামে এক নারী খুন হয়েছে। এ ব্যাপারে ২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে আটজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর