মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের মামলায় শিক্ষকের আট বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, অশ্লীল, মানহানিকর ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করার অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় এক শিক্ষককে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেবব্রত দাস প্রকাশ দেবু দাস নোয়াখালীর হাতিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সুবল চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি স্থানীয় চৌমুহনী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। গতকাল চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবির এ রায় দেন বলে জানান ট্রাইবুন্যালের পাবলিক প্রসিকিউটর মেজবাহ উদ্দীন চৌধুরী। তিনি বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় শিক্ষক দেবব্রত দাসকে আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর ও ২৮ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, অশ্লীল, মানহানিকর ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা বক্তব্য পোস্ট করেন। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর হাতিয়া থানায় এসআই হুমাইন কবির বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১০ জুন ঢাকার সাইবার ট্রাইবুন্যাল বিচারক মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেনের আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬ (সংশোধিত-১৩)-এর ৫৭ (২) ধারার অভিযোগ আনা হয়। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দেবব্রত দাস আদালতে দোষ স্বীকার করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছয়জন ও আসামি পক্ষে দুইজন সাফাই সাক্ষ্য দেন।

সর্বশেষ খবর