নোয়াখালী পৌরসভায় সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও তার নগ্ন ভিডিও চিত্র ধারণের অভিযোগে মো. কালাম ওরফে কালা মিয়া নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সোনাপুর জিরো পয়েন্ট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।  এ সময় তার কাছ থেকে  ভিকটিমের আপত্তিকর ভিডিও সম্বলিত মোবাইল সেট, দুটি সীম, একটি মেমোরি কার্ড, ভিকটিমের আপত্তিকর ছবির  ৫ পাতা স্ক্রিনশট ও ৪১৫ টাকা জব্ধ করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার মো. কালাম ওরফে কালা মিয়া নোয়াখালী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম করিমপুর গ্রামের আবিদ মিয়ার বাড়ির মৃত নুরুল আমিনের ছেলে। গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাবের নোয়াখালী ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো.শামীম হোসেন।  সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিকটিমের স্বামী সৌদি প্রবাসী হওয়ায় পিতার বাড়িতে ঘর বানিয়ে বসবাস করে আসছে। আসামি কালাম ভিকটিমকে বিয়ের আগে থেকেই প্রেমের প্রস্তাবসহ কু-প্রস্তাব দিত। বিয়ের পর ভিকটিমের স্বামী প্রবাসে চলে গেলে আসামি বাড়ির আঙ্গিনা ও রাস্তা-ঘাটে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে কু-প্রস্তাব দিত। গত ২৬ জুন রাত ১০টার দিকে ভিকটিম রাতের খাবার শেষ করে ছোট ছেলেকে ঘুম পারিয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য ঘরের বাইরে টয়লেটে যান। ওই সুযোগে কালাম ভিকটিমের অগোচরে বসত ঘরে ঢুকে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকেন। এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভিকটিম তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে মানুষের হাতের স্পর্শ অনুভব করায় ঘুম ভেঙে যায়। ঘরের মধ্যে বৈদ্যুতিক বাতির আলোতে ভিকটিম আসামিকে দেখতে পান।

ওই বিজ্ঞপ্তি আরও বলা হয়, ভিকটিমকে ঘুমের ঘোরে থাকা অবস্থায় আসামি তার অশ্লীল আপত্তিকর ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ করে। পরবর্তীতে আসামি তার হাতে থাকা ছোরা ভিকটিমের ছোট ছেলের গলায় ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর থেকে আসামি ভিকটিম ও তার সৌদি প্রবাসী স্বামীর কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ভিকটিমের অশ্লীল আপত্তিকর ভিডিও ও স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি  দেয়।