শিরোনাম
শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

দিল্লিতে ২৩-২৫ আগস্ট বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন বৈঠক

নয়াদিল্লি প্রতিনিধি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগে বহু প্রতীক্ষিত ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক হবে। বাংলাদেশের আগ্রহে সাড়া দিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২৩-২৫ আগস্ট নয়াদিল্লিতে এই বৈঠকের প্রস্তাব পাঠিয়েছে। প্রথমে উভয় দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠকের অগ্রগতির ওপর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হবে। সর্বশেষ যৌথ নদী কমিশনের ৩৭তম বৈঠক মন্ত্রী পর্যায়ে হয়েছে নয়াদিল্লিতে ২০১০ সালে। তারপর ২০১১ সালে জানুয়ারি মাসে উভয় দেশের সচিব পর্যায়ে তিস্তা পানি চুক্তির খসড়া চুক্তি হয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তির কারণে এই চুক্তি এখনো কার্যকর হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠক করছেন। তবে নিশ্চিত নয় এই বৈঠকে তিস্তা নিয়ে কোনো আলোচনা হবে কি না। তিস্তা নদীর পানি চুক্তির খসড়া যেহেতু চূড়ান্ত হয়েছে তাই নদী কমিশনের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হবে না।

তবে নদী কমিশন তাদের দিল্লি বৈঠকে অভিন্ন নদী মনু, মুহুরী, গোমতী, খোয়াই, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানিবণ্টন চুক্তি চূড়ান্ত। ঢাকা রহিমপুর খালের অবশিষ্ট খনন সম্পন্ন করতে চায় যাতে চাষাবাদের জন্য কুশিয়ারা নদী থেকে পানি উত্তোলন করা যায়। ভারতের প্রস্তাব কুশিয়ারা নদী থেকে উভয় দেশের পানি উত্তোলনের জন্য একটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরকরণ নিয়ে আলোচনা করবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। এ ছাড়া ফেনী নদী থেকে ত্রিপুরার জন্য পানি উত্তোলনের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।

বাংলাদেশ অনেক দিন ধরেই অভিন্ন ৫৪টি নদীর যৌথ পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছে। জুন মাসে সমাপ্ত যৌথ পরামর্শমূলক কমিশনের বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর এ প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে বলেছিলেন- এই যৌথ নদী পরিচালনা করা উচিত। এতে পরিবেশ রক্ষার কাজও সুষ্ঠুভাবে হবে। এবারের যৌথ নদী কমিশন বৈঠকে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে, যাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সময় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।

সর্বশেষ খবর