বগুড়ায় ‘চাঁদাবাজির’ অভিযোগে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও তার সোর্সকে অবরুদ্ধ করার ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত সোর্সকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গতকাল বিকালে বগুড়া শহরের নাটাইপাড়ায় (নাপিতপাড়া) এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, বগুড়া সদর থানার এসআই মাসুদ রানা তার সোর্স ইকবালকে নিয়ে নাটাইপাড়ায় তরুণ কুমার শীলের বাসায় যান। তারা পুলিশ পরিচয়ে বাসার ভিতরে ঢুকে তরুণ শীলের মোবাইল ফোন জব্দ করেন। এ সময় ওই বাসার ভিতর কয়েকজন যুবক ছিলেন। পুলিশের সোর্স ইকবাল তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। একপর্যায়ে বাড়ির লোকজন পুলিশের উপস্থিতি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ শুরু করলে এসআই মাসুদ রানা তাদের মারধর করেন। পুলিশ বাড়ির নারীদেরও মারধর শুরু করলে প্রতিবেশীরা এসে পুলিশ ও তার সোর্সকে অবরুদ্ধ করেন। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়। বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরাফত ইসলাম জানান, এসআই মাসুদ রানাকে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। মাসুদ রানার সোর্স ইকবালকে আটক করা হয়েছে। ওই বাড়িতে কী ঘটেছিল তার সবই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা পুলিশ কর্মকর্তা ও সোর্সকে জনতার রোষানল থেকে উদ্ধারের কথা স্বীকার করেন।