শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
১৬ জনকে আসামি করে মামলা

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হত্যা করা হয় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পূর্বশত্রুতার জেরে মামুন খান (৩২) নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল ১৬ জনকে আসামি করে নড়িয়া থানায় হত্যা মামলা করেছেন নিহত মামুনের বড় ভাই কুদ্দুস খান। মামলার পর প্রধান আসামি মোখলেছ ব্যাপারীকে নড়িয়া পৌরসভা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত মামুন খান নড়িয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বারইপাড়া গ্রামের সালাম খানের ছেলে। তিনি নড়িয়া পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক।

নিহতের পরিবার ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, নড়িয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক মোখলেছ ব্যাপারীর সঙ্গে পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক মামুন খানের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। মোখলেছ ব্যাপারী ও তার লোকজন মাদক বিক্রি ও সেবন করে এমন অভিযোগ মামুনের পরিবারের। মামুন প্রতিনিয়ত মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেন। তাই বুধবার সন্ধ্যায় নড়িয়া পৌরসভা এলাকা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে নড়িয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে একা পেয়ে মোখলেছ ব্যাপারীর নির্দেশে ৮-১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল মামুনের ওপর হামলা চালায়।

এ সময় মামুনকে হাতুড়ি দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। তিনি হাতুড়ির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠান।

রাত ৯টার দিকে সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।

নিহত মামুনের স্ত্রী তানিয়া আক্তার ও মামা আনোয়ার হোসেন মল্লিক বলেন, সন্ত্রাসী মোখলেছ ব্যাপারী ও তার লোকজন মাদক বিক্রি ও সেবন প্রাণ। মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মামুনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছেন মোখলেছ ব্যাপারী ও তার লোকজন। এ হত্যার বিচার চাই।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) এস এম মিজানুর রহমান বলেন, মামুন খানের হত্যা মামলায় গতকাল সকালে ১৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন নিহত মামুনের বড় ভাই কুদ্দুস খান। প্রধান আসামি মোখলেছ ব্যাপারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

 

সর্বশেষ খবর