শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

বাংলাদেশের চা কিনবে লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

বাংলাদেশ থেকে চা কিনবে লন্ডনের বিখ্যাত চা বিপণন প্রতিষ্ঠান লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ। চলতি মাসে তারা বাংলাদেশ চা বোর্ডের মাধ্যমে শ্রীমঙ্গলের বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) থেকে পরীক্ষামূলক ২ হাজার কেজি অর্থডক্স ব্ল্যাক টি কিনবে। এতে চা শিল্পে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে বলে মনে করছে চা বোর্ড।

চা বোর্ড থেকে জানা যায়, একসময় রপ্তানির তালিকায় পাটের পরই ছিল চায়ের স্থান। কিন্তু অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের চা রপ্তানি এখন প্রায় শূন্যের কোঠায় গিয়ে ঠেকেছে। তাই চা রপ্তানির পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চা বোর্ড থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিতকায় চা রপ্তানির জন্য লন্ডন টি এক্সচেঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারাও এতে আগ্রহ দেখায়।

লন্ডন টি এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শেখ অলিউর রহমান। তিনি দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই বিদেশে বাংলাদেশের উৎপাদিত চা বাজারজাত করার আগ্রহ দেখান বলে জানায় চা বোর্ড।

শ্রীমঙ্গলে প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট কার্যালয় থেকে জানা যায়, অলিউর রহমান গত মাসে দেশে এসে টি বোর্ড, প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট ও বিভিন্ন চা বাগান পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি দেশের চা বৈজ্ঞানিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ থেকে বাংলাদেশ চা বোর্ডকে চিঠি দিয়ে তাদের আগ্রহের কথা জানান।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হক বলেন, ‘আমরা তাদের চাহিদা অনুয়ায়ী চা সরবরাহের প্রস্তুতি নিচ্ছি। লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ থেকে চা কিনলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনসহ দেশের চা শিল্পের অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি হবে।’

তিনি বলেন, লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ ১৬৬৯ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। তারা  বিশ্বের ৪৩টি দেশে চায়ের ব্যবসা করছে। তাদের উৎপাদিত চায়ের মধ্যে অনেকই বিশ্ববিখ্যাত। চলতি বছর আরও একটি নতুন চা তাদের বাজারজাত করার পরিকল্পপনা রয়েছে। এই চায়ের নাম ‘দ্য গোল্ডেন বেঙ্গল টি’ (সোনার বাংলা)।

বাংলাদেশ টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মনে করি এটি আমাদের জন্য নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে চায়ের পরিমাণ কম হলেও, এর গুরুত্বটা অনেক বেশি। কারণ ইউরোপের দেশগুলোতে অর্থডক্স চায়ের বড় বাজার রয়েছে। একসময় অনেক চা রপ্তানি হতো। এখন আবার যদি আমরা এই বাজার ধরতে পারি তাহলে প্রচুর চা রপ্তানি করা যাবে। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।’

সর্বশেষ খবর