নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে ডাইভারসিটি প্লাজায় ‘ছাত্র-জনতা হত্যার প্রতিবাদ, শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং রাষ্ট্র সংস্কার দাবি’তে সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখে শেখ হাসিনা বাকশালি স্টাইলে সারা জীবন ক্ষমতায় থাকতে চান। তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, জনতা জেগেছে। শেখ হাসিনা আর এ গণতন্ত্রের নামে অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দেশের ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। বিএনপি মহাসচিব ইতোমধ্যে বলে দিয়েছেন যারা দেশকে ভালোবাসেন, সবুজ পতাকাকে ভালোবাসেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশ্বাস করেন তারা যেন আর ঘরে বসে না থাকেন।
সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদ বলেন, এ প্রবাস থেকে নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করে এরশাদকে হটানোর পথ সুগম করেছিলাম। ১/১১-এ গঠিত সেনাসমর্থিত কেয়ারটেকার সরকার হটাতেও প্রবাসীরা দুর্বার আন্দোলনে শরিক হয়েছিলাম। সেই চেতনায় বর্তমানের আন্দোলনকে শেখ হাসিনার পতন পর্যন্ত অব্যাহত রাখতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য গোলাম ফারুক শাহীন বলেন, শেখ হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলন ত্বরান্বিত করতে অন্তত এক মাস রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ রাখতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি মাওলানা অলিউল্লাহ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি সাঈদুর রহমান সাঈদ। আরও বক্তৃতা করেন নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপি (দক্ষিণ) সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা এবং সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, মহিলা বিএনপি নেত্রী সৈয়দা মাহমুদা শিরিন। নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও ছিলেন স্টেট বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিপি জসিমউদ্দিন, যুগ্মসম্পাদক আরিফুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রইচউদ্দিন, নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপি (উত্তর) সাধারণ সম্পাদক এবাদ চৌধুরী, বরিশাল বিভাগ জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি জাফর তালুকদার, স্টেট বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুর রহমান, হুমায়ূন কবীর, দেওয়ান কাউসার, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, আশরাফ হোসেন, বদরুল হক আজাদ, এ আর মাহবুবুর রহমান, বাচ্চু মিয়া, হাফিজুর রহমান পিন্টু, জিনাত রেহানা নিরা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান ও ওয়াহেদ আলী মন্ডল।