যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করেছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে সমাবেশ করেছে যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেছে যুক্তরাজ্য বিএনপি।
বাংলাদেশে সহিংস পরিস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বার্মিংহাম এরডিংটনের লেবার এমপি পওলেট হ্যামিলটন। তিনি বলেন, তার স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। তিনি বলেন, লেবার লিডারশিপে আমি আপনাদের বক্তব্য পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছি। এ সময় বাংলাদেশে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ব্রিটিশ সরকারের বিষয় নয়, এটি বাংলাদেশের জনগণ ঠিক করবে। সমাবেশে বিভিন্ন স্থান থেকে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা যোগ দেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ব্রিটিশ এমপি ও রাজনীতিবিদ এবং জনগণ আমাদের পাশে ছিল। ঠিক সেভাবেই আজকেও আমরা তাদের কাছে জানান দিতে চাই- বাংলাদেশের ভিতরে জামায়াত-বিএনপি ছাত্রদের ওপর ভর করে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তা সভ্য দেশে হতে পারে না।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক বলেন, আমরা ব্রিটিশ ৬৫০ এমপির কাছে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময় যে জ্বালাও-পোড়াও হয়েছে তা জানাতে এখানে (ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে) এসেছি।
অপরদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে যুক্তরাজ্য বিএনপি বিশাল সমাবেশ করেছে। বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদসহ নানা অঙ্গ সংগঠনের শত শত কর্মী সমাবেশে যোগ দেন। বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর আহমেদসহ নেতা-কর্মীরা। এম এ মালিক বলেন, বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের নামে যে ছাত্র হত্যা হয়েছে, এর বিচার করতেই হবে। ব্রিটিশ সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে আমরা মধ্যবর্তী নির্বাচন দাবি করছি।
সাধারণ সম্পাদক কয়সর আহমেদ বলেন, এই সমাবেশ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার সমাবেশ। এই সমাবেশ থেকে বাংলাদেশে সরকার না নামা পর্যন্ত আন্দোলনের ডাক দিচ্ছি।