অন্তর্বর্তী সরকারকে মানবাধিকারের বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন পুরোপুরি মেনে চলার জন্য সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহার বা উল্লেখযোগ্যভাবে সংশোধন ও মানবাধিকারের দাবি জানাতে গিয়ে আটকদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক গবেষক তাকবির হুদা এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন পুরোপুরি মেনে চলার জন্য অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহার বা উল্লেখযোগ্যভাবে সংশোধনের আহ্বান জানাচ্ছে। এ ছাড়া মানবাধিকারের দাবি জানাতে গিয়ে আইসিটি আইন, ডিএসএ, সিএসএ কিংবা অন্য কোনো আইনের অধীনে আটক সবাইকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে ও তাদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রত্যাহার করতে হবে। গত বুধবারও এক এক্স পোস্টে এ আহ্বান জানায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। পোস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি ছবিও জুড়ে দেওয়া হয়। পোস্টে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, বাংলাদেশে যে কোনো নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য এটা জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ, সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের রক্ষা এবং অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি না করার উপযুক্ত মুহূর্ত।
এদিকে গত বুধবার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে আন্তর্জাতিক অধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, গত কয়েক সপ্তাহের গণবিক্ষোভ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বাংলাদেশে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।