রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় তিনজন খুন হয়েছেন। তারা হলেন- কদমতলীতে মাহবুব হোসেন (২৮), সবুজবাগে মো. ইউসুফ সাধু (৪০) এবং খিলগাঁওয়ে মাহফুজুল আলম বিপ্লব (৪৮)। জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে কদমতলীর পূর্ব জুরাইনের মিনাবাগ এলাকায় মাহবুবকে জবাই করে হত্যা করা হয়। কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে তাকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ছাড়াও অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না তা তদন্তের পর বলা যাবে। মৃতের মামা হাবিবুর রহমান বলেন, মাহবুব একটি জুতার দোকানে কাজ করত। পাশাপাশি একটি ঢালাই কারখানায়ও কাজ করত। জানতে পেরেছি, জাকির নামে এক যুবক ভাগনের মোটরসাইকেলে সারাদিন ঘোরাফেরা করেছিল। জাকির এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সে-ই তাকে হত্যা করেছে। এ ছাড়া গতকাল ভোরে সবুজবাগের বাসাবোতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক ইউসুফের মুত্য হয়। মৃতের ভাতিজা শাকিল মিয়া বলেন, তার চাচা ইউসুফ ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক ছিলেন। রিকশাটির মালিক তিনি নিজেই। প্রতিদিন রাত থেকে সকাল পর্যন্ত রিকশাটি চালাতেন। ভোরে বাসাবো ফ্লাইওভারের নিচে তার রিকশাটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তাকে পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলায় ছিনতাইকারীরা রিকশাটি নিয়ে যেতে পারেনি, ফেলে রেখেই পালিয়েছে। ইউসুফের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার চম্পক নগরে। তিন ছেলের জনক ছিলেন তিনি।
এদিকে খিলগাঁওয়ের এসআই মো. মাহবুব আলম বলেন, গতকাল দুপুরে বনশ্রীর খালের সাঁকোর নিচ থেকে ভাসমান অবস্থায় বিপ্লব নামে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মহেশপুর গ্রামে তার বাড়ি। বর্তমানে খিলগাঁও বনশ্রীর ১ নম্বর রোডের ৩৬ নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। নিহতের বড় ভাই মাহবুবুল আলম বলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে আমরা খিলগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলাম। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। তিনি একটি চায়না প্রজেক্টের সুপারভাইজার পদে কর্মরত ছিলেন।